বিরাট কোহালি, রবি শাস্ত্রী। ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজ। হায়দরাবাদের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ছয় উইকেটে হারিয়ে সেই সিরিজের শুরুটা ভালই হয়েছে। কিন্তু ওই দিনের ম্যাচেই একটা সময় ছিল, যখন ৯৯ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। ২৩৭ এর লক্ষ্যও তখন বেশ কঠিন দেখাচ্ছিল। কিন্তু বিরাট কোহালি বা রবি শাস্ত্রীর নাকি সেই সময়ও তা নিয়ে খুব একটা ভ্রূক্ষেপ ছিল না। দু’জনেই নাকি বেশ খুশি হয়েছিলেন দলের এই অবস্থায়। কেন জানেন?
আসলে বিরাট কোহালি বা রবি শাস্ত্রী দু’জনেরই মনে হয়েছিল বিশ্বকাপের আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতির ম্যাচগুলির মধ্যে এটি একটি। তাই টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা সাফল্য না পেলেও এ বার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা কতটা ভরসা জোগাতে পারেন দলকে, তা দেখে নেওয়া যাবে।
কোহালি বলেন, ‘‘৯৯ রানে ভারতের চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পরই রবি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, ভালই হল ব্যাপারটা। ওঁদের এটা পারতেই হবে। কেদার এবং এমএস ধোনি সেটাই করে দেখাল এ দিন। দুর্দান্ত লাগল ম্যাচটা দেখে।’’
আরও পড়ুন: এ বার বিয়ে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ভাইয়ের, দেখে নিন অ্যালবাম
ব্যাট হাতে ভারতের জয়ের দুই নায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (৭২ বলে ৫৯ রান) ও কেদার যাদব (৮৭ বলে ৮১ রান)। দু’জনের ১৪৯ বলে ১৪১ রানের জুটিটাই ম্যাচ এনে দেয় ভারতের দিকে। কেদার যখন ব্যাট করতে এসেছিলেন, তখন ভারত ৯৯-৪। ওই অবস্থাতেও মনে হয়নি তিনি চাপে আছেন।
আরও পড়ুন: কবে ফের যুদ্ধবিমান চালাতে পারবেন অভিনন্দন? কী বলছে নিয়ম
ভারতের জয়ের অন্যতম দুই নায়ক মহম্মদ শামি (১০ ওভারে ৪৪ রানে দুই উইকেট ও জোড়া মেডেন) ও কেদার যাদব প্রথম একাদশে নিজেদের অবস্থান ক্রমশ জোরালো করেছেন এ দিনের ম্যাচে, এমনটাই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। চার রানে এক উইকেট চলে যাওয়ার পরে বিরাট কোহালি (৪৪) ও রোহিত শর্মা (৩৭) দুরন্ত ভাবে ধরে নিয়েছিলেন খেলাটা। কিন্তু পরপর ফিরে যান হিটম্যান ও রানমেশিন। ১৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন অম্বাতী রায়ুডুও।
এটাকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলছেন কোহালি। তাঁর মত, ‘‘কেদার ও ধোনির এই আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্সটা দেখাই হত না। যদি না ৯৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে যেত দলের।’’