লোঢা কমিশনের রিপোর্টকে তিনি সম্মান করতে চান। কিন্তু রাহুল শরদ দ্রাবিড়ের এটাও মনে হচ্ছে যে, দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলবে জুনিয়র ক্রিকেটারের মনে।
রাহুল দ্রাবিড় বলে দিচ্ছেন, এমন ঘটনা ঘটলে সবচেয়ে ক্ষতি হয় টিমে নীচের দিকে থাকা ক্রিকেটারদের। প্রথম সারির প্লেয়ার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ ঠিকই টিম পেয়ে যাবেন। সমস্যায় পড়বে তলানির বাসিন্দারা।
রাহুল দ্রাবিড়ের কোথাও গিয়ে আফশোসও হচ্ছে। তাঁর টিমে যে তিন ক্রিকেটার কুকীর্তি চালাচ্ছেন সেটা বিন্দুবিসর্গ টের পেলে তিনি লড়ে নিতেন। কিন্তু তিনি তো আঁচই পাননি। ‘‘দেখে খারাপ লাগছে যে দু’এক জনের কাজে বাকিদের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। আর যতই কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক, এর পরেও এমন লোক থাকবে যারা খেলাটাকে ফের কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবে। তাই আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে। সজাগ থাকতে হবে,’’ ভারত ‘এ’-র আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন দ্রাবিড়।
যিনি বর্তমানে ভারত ‘এ’-রও কোচ। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করা হয়, লোঢা কমিশনের সিদ্ধান্ত কঠোর হয়ে গেল কি না। দ্রাবিড়ের উত্তর, ‘‘সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি কেউ নই। আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় রায়টা কঠোর কি না। টিম, প্লেয়ার, টুর্নামেন্টের কাছে সিদ্ধান্তটা খুব টাফ। কিন্তু আমাদের সেটাকে সম্মান করতে হবে।’’ এখানে না থেমে ‘দ্য ওয়ালের’ আরও সংযোজন, ‘‘আসলে এ সব ক্ষেত্রে দেখা যায়, একেবারে নীচের দিকে থাকা প্লেয়ার বা লোকেদের সবচেয়ে ভুগতে হয়। উপরের দিকে থাকা ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফকে সে ভাবে সমস্যায় পড়তে হয় না। আমাদের টিমের যারা সেরা প্লেয়ার, তারা ঠিকই টিম পেয়ে যাবে। তাদের ঠিকই অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কিনে নেবে।’’
ক্রিকেট-দেবতার নিষ্ঠুর পরিহাস হলেও সত্যি যে, তাঁর টিম থেকেই আইপিএল-কলঙ্কের সূত্রপাত। শ্রীসন্থদের যখন ক্রিকেট-দুর্নীতির জন্য গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, তখন দ্রাবিড় রাজস্থান অধিনায়ক। যে রাজস্থানকে এখন সিএসকের সঙ্গে দু’বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে লোঢা কমিশন। টিম টালমাটাল পরিস্থিতিতে, প্লেয়ারদের ভাগ্যও। দ্রাবিড় এখনও ভেবে পান না কী ভাবে এটা তাঁর টিমে হয়েছিল। ‘‘কী যে হচ্ছিল তখন, তার বিন্দুমাত্র ধারণাও আমার ছিল না। যদি জানতে পারতাম ওই তিন জন সন্দেহজনক কিছু করছে, সঙ্গে সঙ্গে সেটা আটকানোর লড়াইয়ে নেমে যেতাম। অথচ কিছুই জানতাম না আমি। মুদগল কমিশনকে সেটা বলেওছি।’’