দ্রাবিড়ের মতো বহুমুখী প্রতিভা হিসেবে রাহুলকে চান বাঙ্গার

বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় ক্রিকেটের বহু আলোচিত চার নম্বরে নিজেকে থিতু করে নিয়েছিলেন কে এল রাহুল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বোলিং সহায়ক পিচেও দলকে ভরসা দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ০৬:২৫
Share:

হাতে চোট পেয়ে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে নেই ওপেনার শিখর ধওয়ন। সেই জায়গায় বৃহস্পতিবার ট্রেন্ট ব্রিজে রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যাবে কে এল রাহুলকে।

Advertisement

নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই দ্বৈরথের আগে ভারতের ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার মনে করছেন, শিখরের পরিবর্তে ওপেন করতে নেমে কে এল রাহুল যদি মানিয়ে নিতে পারে, তা হলে দলে ভারসাম্য থাকবে। এ প্রসঙ্গে অতীতে রাহুল দ্রাবিড়ের উদাহরণও টেনে এনেছেন বাঙ্গার। জানিয়েছেন, ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতীয় দলে রাহুল দ্রাবিড় উইকেটকিপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি, নানা জায়গায় ব্যাট করতে পারত। তাতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতীয় দলে ভারসাম্য ছিল। বাঙ্গারের আশা, কে এল রাহুলও ওপেন করতে নেমে দলে সেই ভারসাম্য আনতে পারবেন।

বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় ক্রিকেটের বহু আলোচিত চার নম্বরে নিজেকে থিতু করে নিয়েছিলেন কে এল রাহুল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বোলিং সহায়ক পিচেও দলকে ভরসা দিয়েছেন। এ বার তাঁকে রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে যেতে হবে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে। নতুন ভূমিকায় বিশ্বকাপে রাহুলের ভূমিকা কতটা চ্যালেঞ্জের তা জানতে চাইলে, ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার বলছেন, ‘‘বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাট করতে পারলে, অন্যদের চেয়ে খেলাটা আরও ভাল বোঝা যায়। যদি আপনি মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন, তার পরে হঠাৎ ওপেন করতে পাঠানো হয়, তখন বোঝা যায় সেটা কত বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, সেখানে নতুন বলের সঙ্গে নিজেকে যেমন মানিয়ে নিতে হয়, তেমনই চার বা ছক্কা মারার সুযোগও থাকে।’’

Advertisement

ভারতীয় ব্যাটিং কোচ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ক্রিকেটের ইতিহাস বলছে, যদি কোনও খেলোয়াড় এ ভাবে বিভিন্ন ভূমিকায় ব্যাট হাতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, তা হলে সে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। এ ক্ষেত্রে রাহুল দ্রাবিড়ের উদাহরণ যদি টানা হয়, চোখে পড়বে এতে দলই উপকৃত হয়েছিল।’’

ভারতের ব্যাটিং কোচ নিশ্চিত, ওপেন করতে নেমে নতুন বল খেলার পাশাপাশি, চার-ছক্কা মারার সুযোগও পাবেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘শুরুর দিকের ব্যাটসম্যান যখন মাঝে ব্যাট করতে নামে তখন সে বুঝতে পারে ওই সময়ে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে থাকে ব্যাটসম্যানের জন্য। তখন সে বুঝতে পারে, প্রথম ১০-১২ ওভারে যে শটে চার হয়েছে, সেই শটে মাঝের দিকের ওভারে এক রান ওঠে।’’

বাঙ্গারের মতে, যদি রাহুল মানসিক ভাবে পোক্ত হয় ও দ্রুত ওপেনার হিসেবে মানিয়ে নিতে পারেন, তা হলে দু’টি সুবিধা। প্রথমত, সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় বড় রান করার সুবাদে। দ্বিতীয়ত, দলও উপকৃত হয় ওই ক্রিকেটারের রানে। বাঙ্গারের কথায়, ‘‘সুতরাং বিষয়টি হল মানসিক ভাবে মানিয়ে নেওয়া। যে ক্রিকেটার এটা করতে পারে, তার দক্ষতা অসাধারণ। এতে ওই ক্রিকেটারের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হয়, তেমনই সুবিধা হয় তার দলেরও।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement