মহড়া: জিম সেশনের পরে কেদার, বুমরা, রাহুল, হার্দিকদের নিয়ে এই ছবি রবিবার টুইট করলেন বিরাট।
স্বয়ং অধিনায়ক বল করতে চান, কিন্তু পারছেন না সতীর্থরা বাঁকা চোখে তাকাবেন বলে! ভাবতে কষ্ট হলেও ঠিক এই কারণের জন্য গত দু’বছরে আন্তর্জাতিক ম্যাচে বল করেননি বিরাট কোহালি!
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ বার ভারতের হয়ে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন কোহালি। কিন্তু তার পর থেকে কেন আর বল করেননি তিনি? কোহালি নিজেই ফাঁস করেছেন সেই রহস্য।
সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মজা করে তিনি বলেছেন, ‘‘বোলার হিসেবে দলের কেউ আমাকে গুরুত্ব দেয় না। সে জন্যই তো আমার আর বল করা হয়ে ওঠে না।’’
এর পরে কোহালি টেনে এনেছেন সেই ২০১৭ সালের ঘটনা। যার পর থেকে আর বল করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: ওভালে ব্যাঘ্রগর্জনে ধরাশায়ী দক্ষিণ আফ্রিকা, কী ভাবে কক-প্লেসিদের হেলায় হারাল বাংলাদেশ
ভারত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ ছিল সেটা। ওই সিরিজে আমরা প্রায় সব ম্যাচই জিতছিলাম। একটা ম্যাচে আমি ধোনিকে জিজ্ঞেস করি, বল করতে পারব কি না। ঠিক যখন বল করতে যাচ্ছি, (যশপ্রীত) বুমরা বাউন্ডারি লাইন থেকে বলে ওঠে, ‘সব কিছু নিয়ে মজা নয়। এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ।’ তার পর থেকে আর বল করা হয়নি।’’ তার আগে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ম্যাচে বল করে চার উইকেট নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক।
এর পরে ছদ্ম-হতাশার ভঙ্গিতে কোহালি বলতে থাকেন, ‘‘দলের কেউ আমার বোলিংয়ের উপরে আস্থা রাখতে পারে না। কিন্তু আমার যথেষ্ট আস্থা আছে নিজের বোলিংয়ের ওপর। এর পরে অবশ্য আমার পিঠেও সমস্যা দেখা দেয়। যার পরে আর ম্যাচে বল করা হয়নি।’’ শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচেই নয়, আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়েও বল করেছেন কোহালি। দিন কয়েক আগে সাউদাম্পটনে নেট প্র্যাক্টিসের সময় কোহালিকে অফস্পিন করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু যখন বোলিং শুরু করেন, তখন পেসার ছিলেন তিনি। সেই সব দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কোহালি বলেন, ‘‘আমি যখন দিল্লি অ্যাকাডেমিতে ছিলাম, তখন ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসনের বোলিং অ্যাকশনের খুব ভক্ত ছিলাম। ওর বোলিং অ্যাকশন অনুকরণ করার চেষ্টা করতাম। এর পরে যখন জিমির সঙ্গে দেখা হয়, ওকে বলেছিলাম ঘটনাটা। দু’জনে খুব হাসাহাসি করেছিলাম।’’
শুধু নিজের বোলিং নিয়েই নয়, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকেও নিয়ে কথা বলেছেন কোহালি। বুঝিয়ে দিয়েছেন, কতটা শ্রদ্ধাশীল তিনি তাঁর পূর্বসূরি সম্পর্কে। কোহালির মন্তব্য, ‘‘ধোনি এখনও আমার অধিনায়ক। ওর প্রতি আমার অনুভূতিটা ঠিক কী রকম, বলে বোঝানো যাবে না।’’ মাঠেও দেখা গিয়েছে, ধোনি মাঝে মাঝেই এসে কোহালিকে পরামর্শ দিয়ে যান। যা নিয়ে কোহালিও বলেছেন, সেই সব পরামর্শ তিনি সাগ্রহে শোনেন। সাক্ষাৎকারে কোহালিকে আরও প্রশ্ন করা হয়েছিল, দলের তরুণদের কী ভাবে টেনশনমুক্ত রাখা হয়? কোহালি বলেন, ‘‘আমাদের দলে সিনিয়র, জুনিয়রদের মধ্যে কোনও ভাগ নেই। কোনও জুনিয়র বোলার যদি আমাকে এসে বলে, এ রকম ফিল্ডিং চাই না, অন্য রকম চাই, তা হলে আমার কোনও সমস্যা নেই।’’