সাত এ সাত। ম্যাঞ্চেস্টারে রবিবারের ব্লকবাস্টারে পাকিস্তানকে ৮৯ রানে(ডার্কওয়ার্থ লুইস নিয়মে) হারিয়ে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখল ভারত। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিনটে বিষয়েই পাকিস্তানকে মাত দিল বিরাট ব্রিগেড। সেই ম্যাচের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আমরা তৈরি করলাম মার্কশিট। দেখে নিন বিরাট-রোহিতরা কে কত নম্বর পেলেন।
লোকেশ রাহুল- শিখর ধওয়ন চোট পাওয়ায় তাঁর বদলে ওপেনিংয়ে নেমে রোহিতের সঙ্গে দুর্দান্ত ১৩৬ রানের পার্টনারশিপ করেন। যার ফলে ম্যাচে ধওয়নের অভাব একেবারেই টের পাওয়া যায়নি। ওপেনিংয়ে ভাল খেলার জন্য রাহুল পেলেন ১০-এ ৭।
রোহিত শর্মা- এই বিশ্বকাপে স্বপ্নের ফর্মে আছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও সেই ফর্ম ধরে রেখে মাত্র ১১৩ বলে ১৪০ রান করে পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দিয়ে ম্যাচের সেরা হন হিটম্যান। তিনি পেলেন ১০-এ ৯।
বিরাট কোহালি- তিন নম্বরে নিজের ভূমিকা খুব ভাল মতোই জানেন। তাঁর মতো ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান খুব কমই হয়। আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই ৬৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহালি। যা পাকিস্তানের সামনে একটা বড় লক্ষ্যমাত্রা রাখতে অন্যতম ভূমিকা নেয়। তার সঙ্গে ছিল আগ্রাসী অধিনায়কত্ব। এই সব কারণে বিরাট পেলেন ৮ নম্বর।
হার্দিক পাণ্ড্য- অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের মতো কালকের ম্যাচেও বিরাট চার নম্বরে নামান হার্দিককে। এই সময় তিনি ১৯ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও বল হাতে সেই ঘাটতি পূরণ করে দেন। ম্যাচের ২৭ নম্বর ওভারে পর পর দুই বলে মহম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের উইকেট তুলে নেন হার্দিক। তাই তাঁর ঝুলিতে ৮.৫ নম্বর।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি- বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফিনিশার ধোনি কালকের ব্লকবাস্টারে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মাত্র ১ রান করেই মহম্মদ আমিরের শিকার হন তিনি। ভুল করে বসেন ডিআরএসের ক্ষেত্রেও। বাবরের এলবিডব্লিউয়ের ক্ষেত্রে ডিআরএস নিতে বারণ করেন তিনিই। ধোনিপেলেন ১০-এ ৪ নম্বর।
বিজয় শঙ্কর- শিখর ধওয়ন চোট পাওয়ায় দলে সুযোগ পান বিজয়। বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম ম্যাচের উপর নজর ছিল সবার। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম বলেই আউট করেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম-উল হক-কে। এছাড়াও তিনি আউট করেন অধিনায়ক সরফরাজকে এবং ব্যাট হাতে ১৫ রানে অপরাজিতও থাকেন। তিনি পেলেন ১০-এ ৭.৫।
কেদার যাদব- আগের দু’টি ম্যাচের মতোই এই ম্যাচেও খুব একটা ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। মাত্র ৮ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। যদিও ফিন্ডিং ভাল করেন। যে কারণে তিনি পেলেন ১০-এ ৫।
ভুবনেশ্বর কুমার- ভারতের প্রথম একাদশের সব চেয়ে অভিজ্ঞ বোলার কাল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ২.৪ ওভার বল করেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। যার ফলে সারা ম্যাচে আর মাঠেই নামতে দেখা যায়নি তাঁকে। তাই ভুবনেশ্বর কুমার পেলেন ১০-এ ৪ নম্বর।
কুলদীপ যাদব- এক সময় পাকিস্তানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরা হয়তো ভারতকে বেগ দেবে।কিন্তু তখনই ক্রিজে সেট হওয়া দুই ব্যাটসম্যান বাবর আজম ও ফখর জামানের উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন কুলদীপ। এই দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের জন্য তিনি পেলেন ১০-এ ৮.৫ নম্বর।
যুজবেন্দ্র চহাল- কোনও উইকেট না পেলেও সতীর্থ কুলদীপকে যোগ্য সঙ্গত দেন। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা তাঁর বল বুঝতে বার বার অসুবিধায় পড়ছিলেন। এছাড়া তিনি কুলদীপের বলে সেট হয়ে যাওয়া ফখর জামানের গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচও নেন। তিনি পেলেন ৬ নম্বর।
যশপ্রীত বুমরা- আইসিসি র্যাবঙ্কিং অনুযায়ী বিশ্বের সেরা বোলার হলেও ম্যাঞ্চেস্টারে নিজের নামের প্রতি সুবিচার পারেননি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও উইকেটও পাননি। কিন্তু উইকেট না পেলেও পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের রানের গতি বাড়তে দেননি বুমরা। যার ফলে তিনি পেলেন ১০-এ ৬।