১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল অক্টোবরের ৮ তারিখ। এক মাস ধরে চলেছিল টুর্নামেন্ট। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার মানে পাকিস্তান। ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছয় ইংল্যান্ড। ইডেনের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ৭ রানে ইংল্যান্ডকে হারায়। প্রথম বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।
আগের বিশ্বকাপে ওভার সংখ্যা ছিল ৬০। ১৯৮৭-তেই ওভার সংখ্যা কমিয়ে ৫০ করা হয়। ইংল্যান্ডের বাইরে এই প্রথমবার কোনও বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়। ভারত ও পাকিস্তান যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল।
আগের তিনটি সংস্করণে বিশ্বকাপের নাম ছিল প্রুডেনসিয়াল কাপ। '৮৭ সালের বিশ্বকাপে বদলে যায় নাম। প্রুডেনসিয়াল কাপের পরিবর্তে বিশ্বকাপের নাম হয় রিলায়েন্স ওয়ার্ল্ড কাপ।
ইতিহাসের পাতায় নাম তোলেন ভারতের চেতন শর্মা। প্রথম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। ঘরের মাঠে সেমিফাইনাল খেলতে হলে নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারাতে হতো ভারতকে। কেন রাদারফোর্ড, ইয়ান স্মিথ ও ইউয়েন চ্যাটফিল্ডকে পর পর তিন বলে ফিরিয়ে দেন চেতন শর্মা।
এই বিশ্বকাপেই সুনীল গাওস্কর তাঁর একমাত্র ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের ২২১ রানের জবাব দিতে নেমে গাওস্কর ৮৮ বলে ১০৩ রান করেন। ১০টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ‘লিটল মাস্টার’।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে বিতর্ক হয়েছিল। ২৮ তম ওভারে মনিন্দর সিংহের বলে ডিন জোন্সের মারা শট বাউন্ডারি অতিক্রম করলেও আম্পায়াররা নিশ্চিত ছিলেন না এটা বাউন্ডারি না কি ছক্কা! রবি শাস্ত্রী জানান, ওটি বাউন্ডারি। ব্যাটসম্যান জোন্স তাতে অসন্তুষ্ট হন। অজিদের ইনিংসের শেষে অস্ট্রেলিয়ান কোচ আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন। ডিকি বার্ড কথা বলেন ভারত অধিনায়ক কপিল দেবের সঙ্গে। কপিল আম্পায়ারকে ৬ দিতে বলেন। ভারত ম্যাচটি হারে এক রানে।
ভারত অধিনায়ক কপিল দেব সে বার ৫টি ক্যাচ নিয়েছিলেন।
উইকেটকিপার হিসেবে ভারতের কিরণ মোরে ও অস্ট্রেলিয়ার জিসি ডায়ার ১১টি করে ক্যাচ নিয়েছিলেন।
গ্রাহাম গুচের সুইপে স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল কপিল দেবের ভারতের। শেষ চারের লড়াইয়ে ভারতের সামনে ছিল ইংল্যান্ড। রবি শাস্ত্রী ও মনিন্দর সিংহকে সামলানোর জন্য গুচ নেটে দু’ দিন ধরে বাঁ হাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে সুইপ শট মারা প্র্যাকটিস করেন। ম্যাচেও সেই সুইপ শট খেলেই ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে যান গুচ।