বিধ্বংসী মেজাজে ইউনিভার্সাল বস ক্রিস গেল। -টুইটার থেকে নেওয়া ছবি
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই নতুন রেকর্ড ইউনিভার্স বস ক্রিস গেলের। দক্ষিণ আফ্রিকার এ বি ডিভিলিয়ার্সকে (২৩ ম্যাচ খেলে ৩৭ ছয়) টপকে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছয় মারার রেকর্ডটি নিজের ঝুলিতে পুরে ফেললেন ক্রিস গেল। তিনি এখনও পর্যন্ত মোট ২৭ ম্যাচ খেলে ৪০টা ছয় মেরেছেন।
গেলের শুক্রবারের এই কীর্তিতে ইতিমধ্যেই প্রশংসার ঝড় বইছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরাও তাঁর প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ। এ দিন ইংল্যান্ডের ট্রেন্টব্রিজে টসে জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতেই ইমাম উল হকের উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
এর পর ফকর জামান ও বাবর আজাম ব্যাটিং-এর হাল ধরার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফকর জামান ও বাবর আজাম আউট হয়ে ডাগআউটে ফিরে যেতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। এ দিন পাকিস্তানের খেলা দেখে মনে হয়েছিল তারা হয়তো ১০০-র গণ্ডিও টপকাতে পারবে না। শেষে ওয়াহাব রিয়াজের ১১ বলে ১৮ রান পাকিস্তানকে ১০০ পার করতে সাহায্য করে। হোল্ডার বাহিনীর দুর্ধর্ষ বোলিং অ্যাটাকের সামনে যথেষ্টই অসহায় দেখাচ্ছিল সরফরাজদের।
আরও পড়ুন: মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে স্মিথ ও ওয়ার্নার
আরও পড়ুন: প্রায় সাড়ে ৭ ফুট লাফিয়ে স্টোকসের এই ক্যাচ কি বিশ্বসেরা? দেখুন ভিডিয়ো
১০৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওঠে গেল ঝড়। গেল নিজের ব্যক্তিগত ৫০ রানে আউট হয়ে ডাগআউটে চলে গেলেও পাকিস্তানের বোলারদের দুর্দশা তখনও শেষ হয়নি। নিকোলাস পুরানের অপ্রতিরোধ্য ১৯ বলে ৩৪ রানের দৌলতে মাত্র ১৩.৪ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় হোল্ডার বাহিনী।
এক দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপে খেলার জন্য কোয়ালিফায়ার খেলতে হয়েছিল, অন্য দিকে পাকিস্তান বিশ্বের সেরা দলগুলির মধ্যে একটি। তাই ক্যারিবিয়ানদের কাছে পাকিস্তানের এত বড় হারে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। টুর্নামেন্টের শুরুতেই ব্যাটিং নিয়ে যখন চিন্তার ভাঁজ প্রতিবেশী শিবিরে, অন্য দিকে তখন চেনা ডান্স সেলিব্রেশনে মত্ত হোল্ডার বাহিনী। পাকিস্তান অলআউট হয়ার পর আইসিসির টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট হওয়া এই ভিডিয়ো দেখেই তা স্পষ্ট।
এ সবের পরেও ক্রিকেট বিশারদরা মনে করছেন, পাকিস্তান যথেষ্ট শক্তিশালী দল এ বারের বিশ্বকাপে। একটি ম্যাচে হার নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। পুরনো সব ভুলে গ্রুপ লিগে বাকি ৮টি ম্যাচের দিকে নজর দেওয়া উচিত।