যৌনতা নিয়ে প্রথম প্রশ্নটা তাঁর দিকে যখন ছুড়ে দেয় মিডিয়ার অত্যুৎসাহী এক সদস্য, ইয়ান থর্পের বয়স তখন মাত্র ১৫। সেখান থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন এই তারকা অস্ট্রেলীয় সাঁতারু, জিতেছেন পাঁচটা অলিম্পিক সোনা, তাঁর নামটা কিংবদন্তির আকার নিয়েছে। কিন্তু ওই যৌনতা নিয়ে প্রশ্ন? কোনও দিনই থামেনি।
প্রশ্নের উত্তরটাও সব সময় একই থেকেছে না, আমি সমকামী নই।
রবিবার অবশ্য সে সব একেবারে ওলটপালট হয়ে গেল। অস্ট্রেলীয় টিভি নেটওয়াকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে সাঁতারু স্বীকার করে নিলেন, তিনি সমকামী। “আমি যে সমকামী নই, সেটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মিথ্যে হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিছুটা ইগোও মিশে ছিল এর সঙ্গে। আমি চাইনি লোকে ভাবুক আমি সব কিছু নিয়েই মিথ্যে বলেছি,” সাক্ষাৎকারে বলেছেন থর্প। তাঁর ৩১ বছরের জীবনে যে কথাগুলো কখনও বলবেন বলে ভাবেননি, সেগুলোই এ দিন খোলাখুলি ঘোষণা করে থর্প আরও বলেছেন, “আমি সমকামী, এই ব্যাপারটা সপ্তাহদুয়েক হল ঘনিষ্ঠ মানুষদের জানানো শুরু করেছি।”
খবরটা শুনে থর্পের মা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর বন্ধুরা অতটাও না। কিন্তু দিনের শেষে তাঁর কাছের মানুষেরা সবাই এই ‘নতুন’ থর্পকে মেনে নিয়েছেন। অস্ট্রেলীয় জনতাও যে তাঁর পাশে রয়েছে, টুইটারে তাঁদের প্রতিক্রিয়াই তার প্রমাণ। থর্প এখন চান, সমকামিতা যেন কারও পক্ষে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। তিনি যেমন নিজের এই সত্ত্বাকে প্রকাশ্যে উন্মোচন করেছেন, বাকিরাও যেন সে রকম নির্ভয়ে দিন কাটাতে পারে। “প্রথমে বুঝতে পারতাম না তাদের চ্যাম্পিয়ন সমকামী জানতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার কী প্রতিক্রিয়া হত। তবে এখন শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, গোটা বিশ্বকেই বলতে চাই যে আমি সমকামী। আশা করব এতে আমার মতো বাকিদের জীবনও একটু সহজ হবে,” বলছেন থর্প।