যখন অস্ট্রেলিয়া রীতিমতো চাপে রেখেছে তখনই বিরাট কোহলির সঙ্গে মিলে দেখালেন রানিং বিটউইন দ্য উইকেট কাকে বলে। কী ভাবে এক, দে়ড় রানকে দু’রানে বদলে দেওয়া যায়। তাই হয়তো দ্রুত রানারদের তিনি দলের অ্যাসেট বলেন। সেই তালিকায় যে বিরাটও পরেন সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। রবিবার অবশ্য অধিনায়ক দেখিয়ে দিলেন তিনিও রয়েছেন বিরাটের সঙ্গে। বলেন, ‘‘ওর আমাকে পে করা উচিত। আমি ওর রানের জন্য দৌড়েছি।’’ আসলে ধোনি মাঠে নামার আগে সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছিল এই রানিং বিটউইন দ্য উইকেটই। কারণ রান নিতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়ে গিয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ। তাই দ্রুত রান নিয়ে এক রানকে দু’রানে পরিবর্তন করা যাচ্ছিল না। তবে এই দু’জনকে যে তাঁর কোনও পথ দেখাতে হয়নি সেটাও মেনে নিচ্ছেন ধোনি। বলেন, ‘‘বিরাট সহ-অধিনায়ক আর যুবি ২৫০র বেশি একদিনের ম্যাচ খেলেছে দেশের হয়ে। এমন অবস্থায় ওদের উপরই সিদ্ধান্তটা ছাড়া উচিত।’’
যদিও বিরাটের প্রশংসা করতে থামছেন না ধোনি। বলেন, ‘‘এটা একটা দারুণ ইনিংস ছিল। এটা সত্যি যে এই উইকেটে ব্যাট করা সহজ ছিল না। তবে ভাল বিষয় ছিল ওরা খুব বেশি স্পিনারকে দিয়ে বল করায়নি। যুবির সঙ্গে বিরাটের পার্টনারশিপটাও কাজে লেগেছে। কিন্তু যুবি পায়ে লেগে যায় যার ফলে ওই সময় এক রানকে দুই রানে পরিবর্তিত করা যাচ্ছিল না। এমন অবস্থায় অসাধারণ ব্যাটিং করে গেল বিরাট। দুরন্ত ব্যাটিং। বিশেষ করে ওর রানিং বিটউইন দ্য উইকেট খুব ভাল।’’ ম্যাচ শেষে বিরাটই বলেছিলেন, ধোনি তাঁকে মাঠে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে সাহায্য করেছিলেন। নিজে যে ভাবে সব সময় কুল থাকেন। ধোনি বলছিলেন, ‘‘যখন তুমি মাথা ঠান্ডা রেখে কিছু করবে তখন জানবে সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু ও বিরাট। সব সময় আক্রমনাত্মক। চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসে।’’
বিরাটের ব্যাটিংয়ের কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ধোনি বলেন, ‘‘মিডল ওভারে যদি ভাল রানার থাকে তাহলে চাপটা অনেক কমে যায় আর উল্টে চাপ সৃষ্টি হয় বোলার আর ফিল্ডারদের উপর। আমি গ্রেট নই। আমি নিজের জায়গায় পেলে ছক্কা মারি। অথবা দুই রান নেই। আমি বিরাটের মতো নই যে যেকোনও দিকে ব্যাট চালাতে পারে।’’
আরও খবর
মোহনবাগানের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন বিরাট!