আজ দ্বিতীয় ওয়ান ডে

চাপের মুখে ধোনির ব্যাটিং লড়তে শিখিয়েছে রায়ডুকে

জাতীয় দলের কোনও ম্যাচ চলত যখন, ড্রেসিংরুমে বসে ঠায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাটিং দেখতেন তিনি। দেখতেন, কী ভাবে ম্যাচের পর ম্যাচ মহাচাপের পরিস্থিতি থেকে টিমকে টেনে নিয়ে স্বস্তির স্টেশনে ফেলছেন ভারত অধিনায়ক। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে চাপের মুখে ও রকম দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি করার নেপথ্য-কাহিনি বলতে গিয়ে অম্বাতি রায়ডুর ঠিক এটাই মুখে আসছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৫ ০৩:৩৫
Share:

জাতীয় দলের কোনও ম্যাচ চলত যখন, ড্রেসিংরুমে বসে ঠায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাটিং দেখতেন তিনি। দেখতেন, কী ভাবে ম্যাচের পর ম্যাচ মহাচাপের পরিস্থিতি থেকে টিমকে টেনে নিয়ে স্বস্তির স্টেশনে ফেলছেন ভারত অধিনায়ক।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে চাপের মুখে ও রকম দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি করার নেপথ্য-কাহিনি বলতে গিয়ে অম্বাতি রায়ডুর ঠিক এটাই মুখে আসছে।
‘‘আইপিএল অনেক শিখিয়েছে। তা ছাড়া ভারতীয় দলের সঙ্গেও বেশ কিছু দিন ধরে আছি। চেঞ্জিং রুমে বসে ধোনি ভাইয়ের ব্যাটিং দেখতাম। কী ভাবে এ সব পরিস্থিতি থেকে ও ম্যাচ বার করে, দেখে শেখার চেষ্টা করতাম,’’ বলে দিয়েছেন রায়ডু। যিনি হারারে স্পোর্টস ক্লাবের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি না পেলে ভারতের হয়তো ম্যাচটাই জেতা হত না।
হারারেতেই রবিবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে। যে যুদ্ধের আগে অজিঙ্ক রাহানের টিম ইন্ডিয়াকে চিন্তায় রাখবে দলের মিডল অর্ডার ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে রায়ডু-স্টুয়ার্ট বিনি ৮৭-৫ থেকে টিমকে আড়াইশো পার করিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাকিরা চরম ব্যর্থ। কেদার যাদব, মনোজ তিওয়ারি বা রবিন উথাপ্পা কেউ রান পাননি। শেষ পর্যন্ত মাত্র চার রানে জয় পায় ভারত। যা রায়ডুর সেঞ্চুরির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ‘‘আমি তো বলব শুক্রবার জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংসটা খেলেছি। প্রথম দিকে বল এতটা মুভ করছিল যে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডে খেলতে এসেছি। আরও যেটা তৃপ্তির সেটা হল, ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত জিতে ফিরেছি। পরিবেশ, পরিস্থিতি আমাদের বিপক্ষে ছিল। কিন্তু তার পরেও জিততে পেরেছি,’’ বলে দিচ্ছেন রায়ডু। এবং বলে ফের ফিরে যাচ্ছেন ধোনির প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতায়। ‘‘আমি শুধু দেখতাম ধোনি ভাই কী ভাবে চাপে খেলে। কী ভাবে একটা ম্যাচকে আস্তে আস্তে নিজের দিকে আনতে থাকে। বাইরে থেকে বসেও শেখা যায়। ভেবে ভাল লাগছে যে যতটুকু শিখেছি, সেটা কাজে লাগাতে পারছি।’’

Advertisement

তার পরেও তো ভারতীয় টিমে তিনি নিয়মিত নন। কিন্তু সেটা ভেবে হতাশায় ডুবে থাকতে চান না হায়দরাবাদ ব্যাটসম্যান। বলে দিচ্ছেন, ‘‘পরিস্থিতি সেটা, বাস্তবও তাই। আপনাকে এটা মেনে নিয়ে এগোতে হবে। আমি খুব সহজ ভাবে সব কিছু নিই। সবচেয়ে বড় কথা, নিজের জন্য কোনও মাইলস্টোন তৈরি করি না। ভাবি না যে, আমাকে এটা করতে হবে। ওতেই চাপ অনেকটা কম হয়ে যায়। আমি তো প্রত্যেক ম্যাচে এটা ভেবে নামি যে, এটাই আমার জীবনের শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।’’

টিমের বাইরে বসে থাকার হতাশা কাটাতে যিনি রায়ডুকে মন্ত্র দিয়েছেন, তাঁর নাম বিরাট কোহলি। ‘‘অদ্ভুত একটা কথা বলেছিল বিরাট। বলেছিল যে ম্যাচে বাইরে বসে থাকবে, ভাবার চেষ্টা করবে যে তুমি ম্যাচটা খেলছ। মনে মনে সেটা খেলবে। আমি সেটা করে রীতিমতো উপকার পেয়েছি। তাই এখন যখন কোনও ম্যাচে নামি, তার প্রস্তুতিটা হয়েই থাকে। কারণ মনে মনে তো তার আগের ম্যাচগুলোও খেলে ফেলেছি আমি!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement