দুই প্রধানকে হারানোর মেজাজ। ফুরফুরে ফুজা। সোমবার শহরের একটি শপিং মলে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
পনেরো দিনের মধ্যে হারিয়েছেন কলকাতার দুুই প্রধানকে। কলকাতা লিগ জয়ের ভাগ্য অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করলেও তাঁর গলায় কিন্তু এখন আত্মবিশ্বাস। মোহনবাগান-বধের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মহমেডান কোচ ফুজা তোপে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন আনন্দবাজারকে।
প্রশ্ন: দুই প্রধানকেই হারালেন। কলকাতা লিগ জেতার ব্যাপারে এখন কতটা আশাবাদী আপনি?
ফুজা: কলকাতা লিগ নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। এটাই এই টুর্নামেন্টের ইউএসপি। আমরা ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে হারিয়েছি ঠিকই। কিন্তু বাকি ম্যাচগুলো হাল্কা ভাবে নিলে চলবে না। তাই এখনই ট্রফি নয়। ভাবছি পরের ম্যাচ নিয়েই।
প্র: কিন্তু কলকাতায় কোচিং করানো মানেই তো রেজাল্ট দিতে হবে, না হলে ছাঁটাই!
ফুজা: হ্যাঁ, এটা খুবই খারাপ মানসিকতা। কোচকে সময় দিতে হবে। এক রাতেই তো কোনও দলের চেহারা বদলানো যায় না।
প্র: সেটা কি ক্লাব শুনবে যদি মরসুম শেষে ভাল ফল দিতে না পারেন?
ফুজা: আমি পুরো চেষ্টা করব। উজাড় করে দেব সব। এখানে এমনিতেই কোচেদের কদর কম।
প্র: কদর কম মানে?
ফুজা: মানে কলকাতায় কোচেদের শ্রদ্ধা করা হয় না। নাইজিরিয়া বা ইউরোপে দেখুন, প্রতিটা ক্লাবে কোচই শেষ কথা। তার পরে ফুটবলাররা। এখানে ঠিক উল্টো।
প্র: আপনি আগেও কোচ ছিলেন মহমেডানে। ২০১০-এ। তখন আপনাকে সময় দেওয়া হয়েছিল কি?
ফুজা: আগে কী হয়েছিল সেটা নিয়ে ভাবি না। এ বার আমি বলেই দিয়েছিলাম কর্তাদের, এই দলকে গোছাতে তিন মাস অন্তত সময় লাগবে। আর দল গড়তে আমাকে যেন পুরো সহযোগিতা করা হয়। এখন আমি মহমেডান দল সম্পর্কে অনেক বেশি জানি। কলকাতার ফুটবল সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল। তাই আবার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।
প্র: দুই প্রধানকে হারানোর পিছনে কী আপনার আফ্রিকান ঘরানার ফিজিক্যাল ফুটবল?
ফুজা: শুধু আফ্রিকান ঘরানা নয়। আমার স্প্যানিশ আর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলও ভাল লাগে। বল দখলে রাখতে বিশ্বাস করি।
প্র: আপনার আদর্শ কোচ কে?
ফুজা: স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন। ওনার কোচিং স্টাইলে আমি মুগ্ধ।
প্র: আপনি তরুণ ফুটবলারদের উপর বেশি জোর দেন, না অভিজ্ঞতাকে?
ফুজা: আমার মতে দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল হওয়া উচিত। তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে অভিজ্ঞ কয়েক জন ফুটবলার থাকলে এমনিতেই দলের লাভ হয়। তবে তারকা ফুটবলার রাখা উচিত নয়।
প্র: নয় কেন?
ফুজা: দেখেছেন তো গত মরসুমে মহমেডানে কী হল! সে জন্যই বলছি।