বিরাট কোহালি। ছবি: পিটিআই।
একটা মন্তব্য, আর তার ভুল ব্যাখ্যা। হ্যাঁ, এমনটাই বলছেন বিরাট কোহালি। সিরিজ শেষে ধর্মশালায় সাংবাদিক সম্মলনে ভারত অধিনায়ক বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা আর বন্ধু নন। যেটা মুহূর্তেই আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেট বিশ্বে। বিরাটের বিরুদ্ধে দানা বাঁধতে থাকে ক্ষোভ। যার ফল অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে সংবাদ মাধ্যমের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গত বুধবারই অস্ট্রেলিয়া মিডিয়া বিরাটের ক্লাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। এই বক্তব্যকে ইগো, তাঁর বাচ্চাদের মতো ব্যবহারও বলা হয়। তুলনা করা হয় স্মিথের ক্ষমা চাওয়ার সঙ্গেও। বলা হয় স্মিথের মতই বিরাটেরও ক্ষমা চাওয়া উচিত।
আরও খবর: বিরাটের ‘বন্ধু নয়’এর তালিকায় কি আমি আছি প্রশ্ন স্মিথের
সেদিন কী বলেছিলেন বিরাট?
বিরাটের সেই টুইট
তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিরিজের শুরুতে আমি যেটা বলেছিলাম সেটা বদলে গিয়েছে। প্রথম টেস্টের আগে যেটা বলেছিলাম, সেটায় আমি ভুল প্রমাণিত হয়েছি। সেই কথা আমার মুখ থেকে আর কেউ শুনবে না।’’ সমস্যা বড় হয় যখন বেঙ্গালুরু টেস্টের শেষে স্মিথের ডিআরএস-এর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ড্রেসিংরুমের সাহায্য চাওয়া নিয়ে মুখ খোলেন বিরাট। পুরো ঘটনায় জড়িয়ে যায় দুই বোর্ড, আইসিসি, এমন কী সংবাদ মাধ্যম। বিরাটকে বিশ্ব ক্রিকেটের ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলে অজি সংবাদ মাধ্যম। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের সিইও জেমস সাদারল্যান্ড বলেন কোহালি মনে হয় ‘সরি’র বানান জানে না। শেষ টেস্ট পর্যন্ত চলতে থাকে পুরো ঘটনা। মাঠেই রবীন্দ্র জাডেজা ও ম্যাথু ওয়েড জড়িয়ে পড়ে বচসায়। মুরলী বিজয়কে গালাগাল দিয়ে বসেন স্মিথ। সব মিলে মাঠের বাইরের লড়াইয়ে জমজমাট টেস্টে সিরিজ শেষ হলেও বাকযুদ্ধ থামছে না এখনও।