চার বছর আগের কথা। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে উড়ে গিয়েছিলেন লন্ডনে। তখন সবে ১৮। সেই অলিম্পিক্সের স্বপ্ন চোখের নিমেশেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছিলেন বক্সার শিবা থাপা। সেই হেরে যাওয়া থেকেই নতুন স্বপ্ন দেখার শুরু। চার বছর পর আবার অলিম্পিক্সের আসরে তিনি। এবার যেন অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছেন। আত্মবিশ্বাসটাও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই যেন রিও উড়ে যাওয়ার আগেই পদক দেখছেন শিবা। রিওর বক্সিং রিংয়ে রাজত্ব করতে চান তিনি। দেশে ফিরতে চান পদক নিয়ে। বলছিলেন, ‘‘যখন আমি প্রথম অলিম্পিক্সে গিয়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল আমার একটা স্বপ্ন পূরণ হল। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই সেটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই আমি রিওর জন্য নতুন করে ভাবতে শুরু করে হতাশাকে পিছনে ফেলে। এখন আমি অন্য মানুষ। একজন ভাল বক্সার অবশ্যই। শেষ চার বছর আমি প্রতিনিয়ত নিজেকে তৈরি করেছি।’’
রিও অলিম্পিক্সে ভারত থেকে প্রথম বক্সার হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন তিনিই। যে কারণে প্রস্তুতিরও অনেকটাই বেশি সময় পেয়েছেন শিবা। মেনেও নিলেন সে কথা। বলেন, ‘‘আমি খুব অ্যাগ্রেসিভ। সেটার উপরি এতদিন কাজ করছিলাম। কিন্তু সেই অ্যাগ্রেসনটা কী ভাবে নিজের আয়ত্ত্বে রাখা যায় সেই অনুশীলনটাই করছিলাম এতদিন। কারণ ওটা বেড়ে গেলে সেখানেই আমার সব কৃতিত্ব শেষ হয়ে যাবে।’’ শিবা থাপার ঝুলিতে ইতিমধ্যেই রয়েছে দুটো ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, দুটো এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স, একটি অলিম্পিক্স, একটি এশিয়ান গেমস এবং একটি কমনওয়েলথ। ‘‘আর এ’গুলোই আমার বক্সিংকে এতদিনে একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। স্পটলাইট আজ আর আমাকে নার্ভাস করে না, ’’ বলছেন শিবা।
ভারতীয় বক্সিংয়ে সমস্যার কোনও শেষ নেই। নেই কোনও ফেডারেশন। এটাই যেন বিশ্ব মঞ্চে অনেকটা চাপে রাখে ভারতীয় বক্সিংকে। শিবা থাপাও এটা নিয়ে হতাশ। কিন্তু সেটা মাথায় রাখতে চান না। তার মধ্যে কোচ বিআই ফার্নান্ডেজের না থাকাটাও ভাবাচ্ছে সব বক্সারকেই। ‘‘কোচ যখন চলে যান তখন আমার খারাপ লেগেছিল। কিন্তু আমার নিজের উপর ভরসা ছিল। এখনও আছে।
আরও খবর
তিন চামচ জলেই গ্রাস করতে পারে ভাইরাস