ট্রফি হাতে সুস্মিতা দেবনাথ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মতো টাকা ছিল না। ফলে মায়ের গয়না বন্ধক দিয়ে ও আত্মীয়দের কাছে ধার করে দুবাইয়ে এশিয়ান যোগাসন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন হাওড়ার মেয়ে সুস্মিতা দেবনাথ। সেখানে তিনটি সোনা জিতেছেন তিনি।
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা। এখন উদয়নারায়ণপুর মাধবীলতা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী তিনি। ছোট বয়স থেকেই যোগাসন ও জিমন্যাস্টিক্স শুরু করেছিলেন তিনি। প্রথমে মা মামনি দেবনাথ তাঁকে যোগাসন শেখাতেন। তার পরে ভর্তি হন যোগাসন ক্লাসে। তখন তাঁর বয়স ন’বছর। উদয়নারায়ণপুর বীরেশ্বর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী স্কুলে পড়ার সময়ই জেলা স্তরে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা জেতেন। তার পরে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে অংশ নেন তিনি। সেখানেও ভাল ফল করেন সুস্মিতা।
জুন মাসে দুবাইয়ে ছিল এশিয়ান যোগাসন প্রতিযোগিতা। সুস্মিতা জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আড়াই লাখ টাকা প্রয়োজন ছিল। বাবা শ্যামল দেবনাথ একটি দোকান ভাড়া নিয়ে জামা কাপড়ের ছোট ব্যবসা চালান। মা ব্যাঙ্কে অস্থায়ী কর্মী। তাই এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। সেই কারণেই মা সোনার গয়না বন্ধক দেন। আত্মীয়দের কাছ থেকেও ধার নেন তাঁরা। সেই টাকা দিয়ে প্রতিযোগিতায় যান সুস্মিতা। সেখানে ট্যাডিশনাল, রিদমিক ও আর্টিস্টিক বিভাগে সোনা জেতেন তিনি।
সোনা জেতার হ্যাটট্রিকের পরেও খুশি হতে পারছেন না সুস্মিতা। অগস্ট মাসে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান তিনি। সেখানে অংশ নিতে দেড় লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এত টাকা কী ভাবে জোগাড় হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। সরকারি সাহায্যের আবেদন করেছেন সুস্মিতা।