ডিফেন্ডারদের ড্রিবল করায় দশে দশ। ফ্রি-কিক নেওয়ায় দশে দশ। ফুটবলার রোনাল্ডো প্রায় প্রতি ডিপার্টমেন্টেই পারফেক্ট। কিন্তু প্রেমিক রোনাল্ডো মোটেই নিঁখুত নন। বরং পারফেক্ট হয়ে উঠতে হলে আরও খাটতে হবে সিআর সেভেনকে। অন্তত এটাই মত তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা জেমা অ্যাটকিনসনের।
সিআর সেভেন তখন ছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে। সালটা ২০০৭। তরুণ রোনাল্ডো প্রেমে পড়েছিলেন জেমার। বেশ কিছু দিন তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। বিচ্ছেদের এত বছর পরে জেমা প্রথম জানালেন প্রেমিক রোনাল্ডো ঠিক কী রকম ছিলেন। ফুটবলার রোনাল্ডোর মতো প্রেমিক রোনাল্ডোকে নম্বর দিতে পারছেন না সেই কথা জানিয়ে জেমা বলছেন, ‘‘আমার মনে আছে প্রথম ডেটে এসে রোনাল্ডো শুধু ফুলস অ্যান্ড হর্সেস নামে সিরিয়াল দেখেছিল। জানি না এখনও ও ওটা দেখে কি না। কিন্তু তখন ওটাই পছন্দ করত রোনাল্ডো। এটা কিন্তু ছয়-সাত বছর আগের কথা বলছি।’’ আর ডিনার কী করেছিলেন দু’জন? হাসতে হাসতে জেমা যোগ করেন, ‘‘এক কাপ চা চেয়েছিল রোনাল্ডো। ব্যস আর কিছু না। ও চা খেতেও খুব পছন্দ করত।’’
রোনাল্ডোর বান্ধবীর তালিকায় ছিলেন ইরিনা শায়েক থেকে শুরু করে মার্চে রোমেরো। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি বিখ্যাত সুন্দরীর সঙ্গে কোনও না কোনও সময় রোমান্সে জড়িয়েছেন সিআর সেভেন। কিছু দিন আগেও ইরিনার সঙ্গে তাঁর প্রেম ভাঙার পরে সিআর সেভেনকে হিংসুটে বলতেও ছাড়েননি তিনি। জেমার অবশ্য রোনাল্ডোকে নিয়ে খারাপ কোনও অভিজ্ঞতা নেই। পেশায় অভিনেত্রী। রোনাল্ডো তাঁর বয়ফ্রেন্ড থাকার সময় প্রায় সারাক্ষণ তাঁদের ধাওয়া করত পাপারাজ্জিরা, সেই কথা জানিয়ে জেমা যোগ করেন, ‘‘ক্রিশ্চিয়ানোর সঙ্গে থাকার সময় মাঝে মাঝে পাগল পাগল লাগত। যেখানেই যেতাম সেখানেই ফটোগ্রাফারদের ভিড়।’’
রোনাল্ডোর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হওয়ার প্রধান কারণ ছিল কলগার্ল। সিআর সেভেনের সঙ্গে কলগার্লদের সম্পর্ক থাকার জন্যই তাঁকে জীবন থেকে বিতাড়িত করতে বাধ্য হন জেমা। কিন্তু তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সম্পর্কে কোনও দিন মিডিয়ার সামনে খারাপ কিছু বলতে চাননি জেমা। ‘‘আমাদের যখন প্রেম ভাঙল তখন সবাই বলেছিল রোনাল্ডোকে নিয়ে সাক্ষাৎকার দিলে অনেক টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু আমি সেটা কখনও করিনি। আমি ও রকম চাইনি।’’ জেমা এখন খুশি। ‘‘আমি এখন খুশি আছি। কোনও সমস্যা নেই জীবনে,’’ বলছেন তিনি।