দ্বৈরথ: বীরভূমের মাঠে ক্রিকেট-যুদ্ধ বাংলাদেশের দলের। মঙ্গলবার দুবরাজপুরের বড়গুণসীমা গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।
এমজিআর স্পোর্টস আকাদেমির ডাকে কয়েকটি মৈত্রী ম্যাচ খেলতে বীরভূমের গ্রামে এল প্রতিবেশী বাংলাদেশের ফেণীজেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার দুবরাজপুরের বড়গুণসীমা গ্রামে আয়োজক সংস্থার স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে অবশ্য হারের মুখ দেখতে হল অতিথি দলকে। ৩৫ ওভারের ম্যাচ হলেও ২৯ ওভারের মধ্যেই ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ফেণী। জবাবে খেলতে নেমে এজিআর ৩৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়।
আয়োজক সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, আরও দু’টি এক দিনের ম্যাচ ও দু’টি টি-২০ ম্যাচ খেলবে দুটি দল। প্রথম খেলায় হারলেও সামনের খেলাগুলিতে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন অতিথি দেশের কর্মকর্তারা। কারণ, তাঁদের দলে অনূর্ধ্ব ১৫ এবং ১৭ জাতীয় দলের হয়ে খেলা তিন খেলোয়াড় রয়েছে। খেলা দেখতে দুটি দলের কর্তাব্যক্তি, এলাকার বিশিষ্ট মানুষ তো ছিলেনই। উদ্বোধনী খেলায় উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক (সিউড়ি) কৌশিক সিংহও।
দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এমডি মহিম ক্রীড়াপ্রেমী বলে খ্যাতি আছে। তাঁর উদ্যোগেই প্রত্যন্ত এলাকায় ক্রিকেট আকাদেমি গঠিত হয়েছে। তৈরি হয়েছে খেলার উপযুক্ত মাঠও। সেখানেই খেলার জন্য পড়শি দেশের কাছে আমন্ত্রণ যায়। তাতে সাড়া দিয়েই বীরভূমের গ্রামে এসেছে বাংলাদেশের দলটি।
যাঁর নেতৃত্বে ক্রিকেট দলটি বীরভূমে এসেছে, তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তথা ফেণী ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অমির হোসেন বাহার। আমির বলছেন, ‘‘ফেণীজেলা ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশের খেলার মানচিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামে খেলার এমন পরিকাঠামো দেখে মন ভরেছে। আমাদের ভাষা এক। এ ভাবে পড়শি দেশে খেলার সুযোগ পেলে দুই দেশের মৈত্রীর বন্ধন আরও মজবুত হবে।’’ আমিরের কথায় আপ্লুত আয়োজক সংস্থার কর্ণধার মহিমও।