প্রতিপক্ষ: ইস্টবেঙ্গলের কোচ মর্গ্যান ও মোহনবাগানের কোচ সঞ্জয় সেনের সঙ্গে সমর্থকেরা। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার ছুটির দিন। ফ্লাড লাইটের আলোয় সঞ্জয় সেন বাহিনীর সঙ্গে জেমস ট্রেভর মর্গ্যানের ছেলেরা সন্ধ্যায় সাতটায় মাঠে নামবেন। গতবার যা ছিল বিকেল ৫টার মধ্যেই। এ বার রাতের অন্ধকারের জন্য, ঝুঁকি নিতে চাইছে না শিলিগুড়ি পুলিশ।
গতবারের তুলনায় অন্তত ১০০ জন অতিরিক্ত পুলিশ কর্মীকে ইলিশ-চিংড়ির লড়াইয়ের মাঠে মোতায়েন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পুলিশ কর্মীদের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। মাঠের বাইরে বিভিন্ন এলাকায় থাকছে আরও ১৫০ ট্রাফিক পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার।
গোলমাল এড়াতে তৈরি রাখা হচ্ছে কমব্যাট এবং আইআরবি ফোর্সকেও। মাঠে পুলিশ কমিশনার তো বটেই ডিসি, এসিপি’রা সকলেই গ্যালারি ধরে ধরে দায়িত্বে থাকবেন।
পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচার কথায়, ‘‘ডার্বি মানেই উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচ। প্রতি মিনিটে টানটান লড়াই। সেখানে যা কিছু হতে পারে। গোটা রাজ্য থেকে ফুটবল পাগল সমথর্কেরা আসছেন। আমরাও তাই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।’’ তিনি জানান, মাঠের ভিতরে, বাইরে ছাড়াও শহরে থানাগুলিতে আলাদা করে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। খেলার পর রেজাল্ট নিয়ে যাতে গোলমাল না ছড়ায় তাই হোটেল, লজগুলিতেও নজর রাখা হবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে শেষবার ডার্বি গোলশূন্য ছিল। তার আগে ২ এপ্রিল ২০১৬-র ডার্বিতে হোম ম্যাচে মোহনবাগানকে হারায় ইস্টবেঙ্গল। চিরাচরিত লাল হলুদের শহর বলে পরিচিত দু’বারই বিকেলে ম্যাচ হয়েছে। এক দফায় গ্যালারিতে বসা নিয়ে সামান্য গোলমাল ছাড়া পুলিশকে মাঠের ভিতর বা বাইরে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু অফিসারদের কথায়, এ বার ম্যাচের আয়োজন সন্ধ্যায়। খেলা শেষ হতে হতে অন্তত রাত সাড়ে ৯টা বাজবে। তার উপরে রেজাল্টের প্রভাব তো থেকেই যায়। তাই আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা করতেই হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর থেকে পুলিশ কর্মী আনা হয়েছে। এর বাইরে ডাবগ্রামের দ্বাদশ, দশম ব্যাটালিয়ান থেকেই ১০০-র উপর ফোর্সকে আনা হয়েছে। খেলার মাঠে প্রতিবারই মহিলাদের ভিড় লক্ষ্য করার মতো বাড়ছে। শতাধিক মহিলা কনস্টেবল এবং হোমগার্ডও তাই রাখা হয়েছে।