Gokulam FC

পিছিয়ে গিয়েও দুরন্ত জয়, প্রথম আই লিগ গোকুলমের

শনিবার বিকেলে ২৩ মিনিটে বিদ্যাসাগর সিংহ গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাউ এফসিকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২১ ০৬:২৯
Share:

জয়োল্লাস: আই লিগ ট্রফি হাতে মাঠেই উৎসব গোকুলম ফুটবলারদের। শনিবার কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে। এআইএফএফ

আই লিগ

Advertisement

গোকুলম ৪ ট্রাউ ১

চার্চিল ব্রাদার্স ৩ পঞ্জাব ২

Advertisement

আই লিগে শনিবার একই সময়ে খেলা ছিল চার দলের। যার মধ্যে কেরলের গোকুলম এফসি, মণিপুরের ট্রাউ এফসি ও গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্স তিন দলই ১৪ রাউন্ডের পরে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ছিল লিগ জয়ের দৌড়ে। শেষ পর্যন্ত কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ট্রাউ এফসিকে ৪-১ হারিয়ে প্রথম বার আই লিগ হাতে তুলল কেরলের দলটি। তাও আবার শুরুতে পিছিয়ে গিয়ে।

শনিবার বিকেলে ২৩ মিনিটে বিদ্যাসাগর সিংহ গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাউ এফসিকে। বিরতিতেও ১-০ এগিয়ে ছিল ট্রাউ। কিন্তু বিরতির পরেই ছন্দে ফেরে গোকুলম। মণিপুরের দলটির রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। শেষ কুড়ি মিনিটেই বাজিমাত করেই ট্রফি জিতে নেয় গোকুলম।

৭০ মিনিটে শরিফ এম মহম্মদ দুরন্ত ফ্রি-কিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান গোকুলমের হয়ে। ৭৪ মিনিটে ফের জোরালো শটে গোল করে কেরলের দলটিকে এগিয়ে দেন এমিল বেনি। ৭৭ মিনিটে ফের গোলার মতো শটে জয়ী দলের তরফে ৩-১ করেন গোকুলমের ডেনিস অ্যান্টউই। সংযুক্ত সময়ে তাহির জামানের শট ট্রাউ গোলকিপারের হাত থেকে ছিটকে বেরিয়ে এলে ফিরতি বলে শট মেরে ৪-১ করেন মহম্মদ রশিদ কে।

দিনের অন্য ম্যাচে গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্স হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে পঞ্জাব এফসিকে ৩-২ হারালেও আনন্দ করতে পারেনি। কারণ ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে জেতায় ততক্ষণে আই লিগ বিজয়ীর তালিকায় নিজেদের নাম তুলে ফেলেছে গোকুলম। মুখোমুখি দ্বৈরথে জয়ের ফলে ভাল জায়গায় ছিল গোকুলম।

প্রথম আই লিগ জয়ের পরে উচ্ছ্বাসে ভেসে যান কেরলের দলটির ফুটবলারেরা। তাঁদের ইটালীয় কোচ ভিনসেঞ্জো অ্যানেস বলেন, ‘‘এটা আমার কোচিং জীবনের স্মরণীয় দিন। লম্বা লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দই আলাদা। ছেলেদের জন্য গর্ব হচ্ছে। তবে এ বারের লিগে আমরা যে ছন্দে ফুটবল খেলেছি, তাতে আই লিগ জেতার দাবিদার ছিল গোকুলম। লিগের সব দলকেই আমরা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় স্বপ্ন সফল হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘এই লিগ জয়ের তাৎপর্য আমার কাছে অনেকটাই। ভারতে কোচ হিসেবে এটাই ছিল আমার প্রথম মরসুম। আর তা শেষ করলাম ট্রফি জিতে বিশেষ ভাবে উদযাপন করে। লিগে আমাদের মতো ছন্দে ফুটবল খেলতে পারেনি কোনও দল।

সত্তর মিনিট পর্যন্ত এক গোলে পিছিয়ে থেকে আই লিগ জয়। সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে গোকুলম কোচ বলে দেন, ‘‘বিরতিতে ছেলেদের সবাইকে বলেছিলাম, নিজেদের দক্ষতায় আস্থা রাখতে। কোনও মতেই হতাশ হয়ে হাল ছাড়া যাবে না। জানতাম একটা গোল করতে পারলেই বিপক্ষের রক্ষণ তাসের ঘরের মতো ভেঙে দেবে আমাদের ছেলেরা। এটা সম্ভব হয়ে নিজেদের অন্তরে থাকা বিশ্বাসের জন্য। যা এই মরসুমে প্রতিনিয়ত আমাদের বলে গিয়েছে, গোকুলম এফসি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল।’’গোকুলমের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার এমিল বেনির কথায়, ‘‘কতটা আনন্দ হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। স্বপ্ন সফল হল। আনন্দ হচ্ছে এটা ভেবে টে দলের এই ঐতিহাসিক আই লিগ জয়ে আমার অবদান রয়েছে এটা ভেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement