মহড়া: যুবভারতীতে অনুশীলনে জার্মানি দল। বিশেষ ভাবে হল গোলকিপারের প্রস্তুতি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
বুধবার সকালে যুবভারতীতে প্রচণ্ড গরমে অনুশীলনের মধ্যে বারবার দাঁড়িয়ে পড়ছিল জার্মানির ফুটবলাররা। ব্যতিক্রম ক্রিস্টিয়ান উক। প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া জার্মানির কোচ গরমকে গুরুত্বই দিতে চান না।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় পৌঁছেই অনুশীলনে নেমে পড়ার পরিকল্পনা ছিল জার্মানির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান উক। এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ গরম উপেক্ষা করেই আট ফুটবলারকে নিয়ে ব্রাজিল ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দেয় জার্মানি। এর মধ্যে একমাত্র লুইস ক্ল্যাটে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিল। যদিও বারো মিনিটের মধ্যেই তাকে তুলে নিয়েছিলেন উক। প্রথম দলের বাকি ফুটবলাররা টিম হোটেলেই ছিলেন। ঘণ্টাখানেক অনুশীলনের পরে উক বললেন, ‘‘গরম ও আর্দ্রতা নিয়ে আমি একেবারেই ভাবছি না। আমার চিন্তা মাঠ নিয়ে। নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের মাঠটা খুব ভাল ছিল। আশা করছি, এই স্টেডিয়ামের মাঠও ভাল খেলার উপযোগী হবে।’’
আরও পড়ুন: ‘শুধু শিল্পেরই নয়, সাম্বা সুর এখন শক্তিরও’
যুবভারতীর মাঠ কী রকম তা পরীক্ষা করার সুযোগ অবশ্য এ দিন পাননি উক। জার্মানি অনুশীলন সারে স্টেডিয়াম সংলগ্ন প্র্যাকটিসের মাঠে। উক বললেন, ‘‘কোথায় আমরা খেলছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার কাছে প্রধান হচ্ছে মাঠ।’’
ফুটবলার হিসেবে উক জার্মানিতে সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় দলে বছর দু’য়েক খেলেছিলেন। কিন্তু সিনিয়র দলে কখনওই সুযোগ পাননি। ২০০২ অবসর নেওয়ার পরে পুরোপুরি কোচিংয়েই মন দেন। বছর পাঁচেক আগে অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন উক। তাঁকে ঘিরেই এখন অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে শাপমুক্তির স্বপ্ন দেখছে জার্মানি। উক অবশ্য জানিয়ে দিলেন, অতীত নিয়ে চিন্তিত নন। ফুটবলারদেরও ভাবতে বারণ করে দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, ‘‘সিনিয়র দলের জন্য ফুটবলার তৈরি করাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। ফুটবলারদের কাছেও নিজেদের গড়ে তোলার সেরা মঞ্চ এই টুর্নামেন্ট।’’ অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে শুরুটা দুর্দান্ত করলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই বিপর্যয়। ইরান ৪-০ বিধ্বস্ত করে জার্মানিকে। সেই ধাক্কা সামলে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইয়ান ফিটে আর্প-রা। শেষ ষোলোর ম্যাচে কলম্বিয়াকে ৪-০ উড়িয়ে দেয় তারা।