মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও সুনীল গাওস্কর। -ফাইল চিত্র।
অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন সবাইকে চমকে দিয়ে। সে টেস্ট হোক বা সদ্য লিমিটেড ওভারের ক্রিকেট। যা দেখে জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে, যে কোনও সময় খেলাও ছেড়ে দেবেন তিনি। টেস্টের অধিনায়কত্বের সঙ্গে খেলাও ছেড়েছিলেন। এ বার যদিও শুধু অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথাই ঘোষণা করলেন। ধোনির এই সিদ্ধান্তে আশঙ্কিত প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর ধোনি আবার খেলা থেকেই অবসর নিয়ে নেবে না তো? গাওস্কর বলেন, ‘‘ও যদি খেলা ছাড়ে তা হলে আমি প্রথম মানুষ হব যে ওর বাড়ির সামনে ধরনায় বসব ওকে ফিরিয়ে আনার জন্য। প্লেয়ার হিসেবে ও এখনও ধ্বংসাত্মক। যে কোনও সময় খেলার ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে এক ওভারে। প্লেয়ার ধোনিকে ভারতের এখনও প্রয়োজন রয়েছে। আমি এটা যেনে খুশি যে ও প্লেয়ার হিসেবে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
আরও খবর: পরবর্তী ক্যাপ্টেনদের জন্য যে সব চ্যালেঞ্জ রেখে গেলেন ধোনি
তবে গাওস্কর মনে করেন অধিনায়কত্ব ছেড়ে ধোনি ওর ব্যাটিং ও উইকেট কিপিংয়ে অনেক বেশি মন দিতে পারবেন। ‘‘এ বার ধোনির জন্য উইকেট কিপিং অনেক সহজ হয়ে যাবে। কারণ ওকে বোলিং চেঞ্জ, ফিল্ড সেটিং নিয়ে ভাবতে হবে না। যেটা কখনও কখনও ওর খেলায় প্রভাব ফেলত।’’ ধোনির ব্যাটিং পজিশন নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ধোনির এখন চার অথবা পাঁচে ব্যাট করতে নামা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘আশা করি বিরাট ধোনিকে চার অথবা পাঁচে ব্যাট করাবে। এর পরে নামালে কোনও কাজে লাগবে না। এটা ঠিক ও ভাল ফিনিশার কিন্তু ও বড় ইনিংসও খেলতে পারে। চার অথবা পাঁচে নেমে ফিনিশারের কাজও করতে পারে।’’ ধোনি আর বিরাটের মাঠের মধ্যের বোঝাপড়াটাও দলের সম্পদ বলে মনে করেন সুনীল গাওস্কর। ধোনির অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে যে খুব একটা অবাক নন তিনি সেটাও পরিষ্কার করে দেন, ‘‘আমি ধোনির সিন্ধান্তে অবাক হইনি। কিন্তু একটু দ্রুত হয়ে গেল। আমি ভেবেছিলাম ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করবে। তার পর বিরাটকে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু বিরাটের নেতৃত্বে টেস্ট দলের টানা সাফল্যের পর এখনই দায়িত্বটা তাঁকেই তুলে দেওয়ার কথা ভাবাটাও অস্বাভাবিক নয়।’’
আরও খবর: অধিনায়কত্ব ছাড়লেন ধোনি
বিরাটের যোগ্যতা নিয়েও আত্মবিশ্বাসী গাওস্কর। আইপিএল-এ টানা অধিনায়কত্ব করছেন। লিমিটেড ওভারেও সাফল্য দেখিয়েছেন সেদিক থেকে দেখতে গেলে। অনেক সময় দেখা যায় অধিনায়কত্বের চাপ সমস্যায় ফেলে। কিন্তু বিরাট প্রমাণ করেছেন এটা তাঁকে সমস্যায় ফেলে না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে কেউ না কেউ তৈরি হয়েই যায় বলে মনে করেন প্রাক্তন এই অধিনায়ক। বলেন, ‘‘আমরা যখন ভাবি কোনও একজন ব্যাক্তিত্বের পর জায়গাটা শূন্য হয়ে যাবে তখনই দেখা যায় কেউ না কেউ উঠে আসছে। ক্রিকেট এমনই। এখন ধোনির খেলাটাকেই উপভোগ করব। ধোনির মতো ক্রিকেটার যুগে একটাই আসে।’’ ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্তও ধোনি থাকবেন কি না সেটাও এখন আর নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। কখনও আবার অবসরের বার্তা আসবে সেই আশঙ্কায় রয়েছে সকলে। তিনি সুনীল গাওস্করই হোক বা তাঁর ভক্তকূল।