কিপিয়েগন বেট। ছবি: এক্স (টুইটার)।
মাত্র ২৬ বছর বয়সে মৃত্যু হল কেনিয়ার অ্যাথলিট কিপিয়েগন বেটের। কিডনি এবং লিভার বিকল হয়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ২০১৭ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি।
বেশ কিছু দিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন বেট। কেনিয়ার অন্যতম সেরা ‘মিডল ডিসট্যান্স’ দৌড়বিদ হিসাবে মনে করা হত তাঁকে। জুনিয়র পর্যায় বেশ কিছু পদক জিতেছিলেন। তবে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহারের অভিযোগে তাঁকে চার বছর নির্বাসিত করেছিল ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স ইন্টেগ্রিটি ইউনিট। শাস্তির জন্য ২০২০ সালের টোকিয়ো অলিম্পিক্স এবং ২০২২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে পারেননি তিনি। যদিও বেট পারফরম্যান্স বর্ধক নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহারের অভিযোগ সব সময়ই অস্বীকার করেছেন।
নির্বাসিত হওয়ার পর মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন বেট। নিয়মিত মদ্যপান শুরু করেছিলেন। ক্রমশ তাঁর মানসিক এবং শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। বেটের বোন পুরিতি কিরুই বলেছেন, ‘‘দাদা সব সময় মানসিক অবসাদে ডুবে থাকত। প্রচুর মদ খেত। ২০২২ সালের অগস্টে শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার ট্র্যাকে ফেরার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। শরীর ওর সঙ্গ দেয়নি।’’ কিরুই জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে এক সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল বেটকে। দু’তিন দিন পর চিকিৎসকেরা বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেন। তবে কিডনির সমস্যার জন্য পরের দিনই আবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছিলেন বেট। তার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে কেনিয়া স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু সাফল্যই তাঁর মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলে মনে করেন সমালোচকদের একাংশ।