১৯৯২ সালে ইমরানের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন সেলিম মালিক। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
২০০০ সালে ম্যাচ-গড়াপেটায় জড়িত থাকার জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন সেলিম মালিক। অস্ট্রেলিয়ার তিন জন ক্রিকেটারকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য তাঁকে চিরনির্বাসিত করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই তিনিই স্বীকার করলেন গড়াপেটায় জড়িত থাকার কথা।
ক্রিকেটে দুর্নীতি একটা বড় ইস্যু। সদ্য পাকিস্তানের উমর আকমল নির্বাসিত হয়েছেন এই কারণে। যা নিয়ে তোলপাড় ক্রিকেটমহল। এই আবহেই নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন সেলিম মালিক। তিনি এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, “১৯ বছর আগে যা করেছি, তার জন্য আমি খুবই দুঃখিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমি তৈরি।”
১৯৯২ সালে ইমরান খানের পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মালিক আরও বলেছেন, “আট বছর বয়সে শুরু করেছিলাম ক্রিকেট খেলতে। এ ছাড়া আর কিছুই করিনি। সারা জীবন ধরে ক্রিকেট খেলে গিয়েছি। এটাই আমার রুটি-রুজি ছিল। আবেদন করছি, মানবাধিকার আইনে যাঁরা ম্যাচ-গড়াপেটায় যুক্ত, তাঁদের যেন বিচার হয়। আর আইসিসি ও পিসিবি-র যা নিয়ম, তার সঙ্গে সহযোগিতা করতে আমি প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত অ্যাকশন, ভাল ছন্দ, দেশের হয়ে নিশ্চিত ভাবেই খেলবে অর্জুন, মত বিশ্বকাপজয়ী পেসারের
আরও পড়ুন: ওয়ার্নকে নিয়ে খেলা করতেন সচিন: ব্রেট লি
২০০৮ সালে পাকিস্তানের প্রধান কোচের পদের জন্য আবেদন করেছিলেন মালিক। ২০১২ সালে পাকিস্তান দলের ব্যাটিং কোচের পদের জন্যও আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। এর কারণ জানতে চেয়ে মালিক বলেছেন, “মহম্মদ আমির, সলমন বাট, মহম্মদ আসিফ ও শর্জিল খানকে তো পরে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাকে অগ্রাহ্য করা হল। এমনকি, কোচ হিসেবেও কাজ করতে দেওয়া হল না।”
এ দিকে, পিসিবি-র আইনি পরামর্শদাতা তাফাজ্জুল রিজভি দুর্নীতি-দমন শাখার কাছে পূর্ণ সহযোগিতা করতে বলেছেন মালিককে। তিনি বলেছেন, “ক্রিকেটে ফিরতে হলে দুর্নীতি-দমন শাখার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে তাঁকে। প্রথমত, ২০১১ সালের এপ্রিলে লন্ডনে হওয়া বৈঠক সম্পর্কে তাঁকে যে প্রশ্নগুলো করা হয়েছিল তার উত্তর দিতে হবে তাঁকে। সেই ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই তাঁর ব্যাপারে ভাবা হবে।”