৪৩ বছরে থামকে গেলেন প্রশান্ত ডোরা
হিমোফ্যাগোসাইটিক লিম্ফোহিস্টিওসিটোসিস। এই রোগটার সঙ্গে আমরা অপরিচিত হলেও ওঁর পরিবার বেশ পরিচিত। সেই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েই মঙ্গলবার দুপুর ১.৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিন প্রধান ও জাতীয় দলে খেলা গোলকিপার প্রশান্ত ডোরা। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৩ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী সৌমি ও একমাত্র পুত্রকে।
গত আড়াই মাস ধরে জীবন যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনার বিরুদ্ধে জিতলেও বিরল রোগের কাছে হার মানলেন হেমন্ত ডোরার ভাই। গত বেশ কয়েক মাস ধরে এই রোগে তিনি ভুগছিলেন। সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্কদের নয়, এই রোগ শিশুদের দেখা যায়।
গত তিন মাস ভর্তি ছিলেন রাজারহাটের এক বেসরকারি হাসপাতালে। নিয়মিত রক্ত বদলাতে হত তাঁর। তবে এবার আর শারীরিক ধকলটা নিতে পারলেন না প্রশান্ত। রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। নিজের চিকিত্সার জন্য বিপুল অর্থ খরচও করেছেন। স্বভাবতই তাঁর অকাল প্রয়াণে ময়দান জুড়ে শোকের ছায়া। মাত্র ৪৩ বছরে থামকে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারছেন না।