সমর্থকদের দাবি, রোনাল্ডো নিজেই একজন তারকা। ফলে সেই দলে বাকি কারওকে তাঁর দরকার হবে না। ছবি: টুইটার
ওয়েন রুনি, রায়ান গিগস, পল স্কোলস হোক বা করিম বেঞ্জেমা, টনি ক্রুস, সের্জিয়ো রামোস— ক্লাব ফুটবলে এক সময়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় তারকাদের সঙ্গে খেলেছেন তিনি। দলের হয়ে জিতেছেন একের পর এক ট্রফি। সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এখন দেশ পাল্টে সৌদি আরবে। খেলছেন আল নাসেরের হয়ে। প্রথম ম্যাচে গোল পাননি। স্বাভাবিক ভাবেই সমর্থকদের প্রশ্ন, কিসের টানে সৌদিতে গেলেন রোনাল্ডো? সেখানে তাঁর পাশে কাদের খেলতে দেখা যাবে?
রোনাল্ডো আক্রমণভাগে পাবেন ব্রাজিলের টালিস্কাকে। এই ফুটবলার অতীতে বেনফিকা, বেসিকতাসের মতো ক্লাবে খেলেছেন। তার পরে চলে যান চিনে। গুয়াংঝুর হয়ে খেলার পর গত বছর থেকে রয়েছেন আল নাসেরে। বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ব্রাজিলের হয়ে খেললেও সিনিয়র দলে এখনও সুযোগ পাননি।
ব্রাজিলের আর এক ফুটবলার লুইজ গুস্তাভোকে পাশে পাবেন রোনাল্ডো। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে খেলেন গুস্তাভো। অতীতে বায়ার্ন মিউনিখ এবং জার্মানির বেশ কিছু ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। বায়ার্নের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। লিয়োনেল মেসির দলের ফুটবলার গঞ্জালো পিতি মার্তিনেস হয়েছেন রোনাল্ডোর সতীর্থ। রিভারপ্লেটের হয়ে অতীতে খেলেছেন। ব্রাজিলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোপা লিবার্তাদোরেস জিতেছেন দু’বার। ২০২০-তে যোগ দেন আল নাসেরে। জাতীয় দলের হয়ে কেবল একটি ম্যাচ খেলেছেন।
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সৌদি আরব। সেই ম্যাচে খেলা দুই ফুটবলারকেও সতীর্থ হিসাবে পাবেন রোনাল্ডো। তাঁরা হলেন সুলতান আল-ঘান্নাম এবং আবদুলেলাহ আল আমরি। সুলতান এর আগে ফ্রান্সের ক্লাব স্তাদ রেমঁর হয়ে খেলেছেন। তিনি বাঁ দিক দিয়ে খেলেন বলে রোনাল্ডোর সঙ্গে আলাদা জুটি তৈরি হতে পারে।
গোলকিপার ডেভিড ওসপিনাও রোনাল্ডোর পরিচিত। পর্তুগিজ ফুটবলার জুভেন্টাসে খেলার সময় ওসপিনা খেলতেন নাপোলিতে। রোনাল্ডো ফুটবলজীবনের ৭৬০তম গোলটি করেছিলেন ওসপিনার বিরুদ্ধে।
তবে নামকরা খুব বেশি তারকা সৌদি আরবে খেলেন না। সাধারণত ইউরোপে খেলা তারকারা রোনাল্ডোর মতো ফুটবলজীবনের শেষ দিকেই এই ধরনের লিগ বেছে নেন। সমর্থকদের দাবি, রোনাল্ডো নিজেই একজন তারকা। ফলে সেই দলে বাকি কারওকে তাঁর দরকার হবে না।