পরামর্শ: প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার খুঁজবেন বিজয়ন। ফাইল চিত্র।
জবি জাস্টিনকে বছর পাঁচেক আগে ইস্টবেঙ্গলের জন্য বেছে দিয়েছিলেন তিনি। এ বারও দল গড়তে আই এম বিজয়নের সাহায্য নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে লাল-হলুদের।
মাসখানেক আগেই ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলাররা ক্লাব কর্তাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন সন্তোষ ট্রফি থেকে ফুটবলার নির্বাচনের জন্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতেই কেরল পৌঁছে যাচ্ছেন অ্যালভিটো ডি কুনহা ও ষষ্ঠী দুলে। শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘জবিকে নেওয়ার সময় বিজয়ন আমাদের সাহায্য করেছিল। এ বারও প্রয়োজনে ওর এবং সুরেশের সাহায্য নেবে অ্যালভিটো ও ষষ্ঠী।’’
সন্তোষ ট্রফিতে সব দলেরই খেলা দেখার পরিকল্পনা রয়েছে লাল-হলুদের দুই প্রাক্তনের। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন অধিনায়ক এম সুরেশও। কোন কোন পজিশনের ফুটবলার বাছাই করার পরিকল্পনা রয়েছে? মঙ্গলবার কেরল যাওয়ার পথে ফোনে আনন্দবাজারকে অ্যালভিটো বললেন, ‘‘শক্তিশালী দল গড়ার জন্য ভাল মানের ফুটবলার বাছাই করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের লক্ষ্য প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার খুঁজে বার করা। তাই সব ম্যাচই দেখার চেষ্টা করব।’’ যোগ করলেন, ‘‘তবে সন্তোষ ট্রফি থেকে ফুটবলার নির্বাচন করতেই হবে, এ রকম কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ভাল ফুটবলার যদি চোখে পড়ে, তা হলেই তাকে নেওয়ার জন্য ক্লাবকে পরামর্শ দেব।’’
আইএসএলের দলগুলির উদাহরণ দিয়ে অ্যালভিটো আরও বললেন, ‘‘আইএসএলের অধিকাংশ ক্লাবই মিজ়োরাম, মেঘালয়, মণিপুর, পঞ্জাব-সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার তুলে আনছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব দারুণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সন্তোষ ট্রফিতে আমাদের পাঠিয়ে। চেষ্টা করব, ভাল ফুটবলার খুঁজতে, যারা ভবিষ্যতে ইস্টবেঙ্গলের সম্পদ হয়ে উঠে পারে।’’
ফুটবলার বাছাই নিয়ে বিজয়নের সঙ্গে কী কথা হয়েছে? অ্যালভিটোর কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে বিজয়ন একটু ব্যস্ত রয়েছে অভিনয় নিয়ে। তবে তার মধ্যেও সময় বার করে ম্যাচ দেখার আশ্বাস দিয়েছে। সন্তোষ ট্রফিতে কেরলের প্রথম ম্যাচেও মাঠে ছিল। তা ছাড়া সুরেশ রয়েছে। ও আমাদের সঙ্গেই থাকবে।’’ বিজয়ন বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল দারুণ উদ্যোগ নিয়েছে সন্তোষ ট্রফি থেকে ফুটবলার বাছার। আমি সব রকম ভাবে সাহায্য করব। বিশেষ কাজে তিরুঅনন্তপুরমে আসতে হয়েছে। বুধবারই আমি মালাপ্পুরমে পৌঁছে যাব। অ্যালভিটো, ষষ্ঠী ও সুরেশের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার খুঁজব।’’