পেরু-ভেনেজুয়েলা ম্যাচে ঝামেলার মুহূর্ত। ছবি: টুইটার।
শুধু ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাই নয়, লাতিন আমেরিকার ফুটবলে গন্ডগোলে জড়াল আরও দুই দেশ। পেরুর বিরুদ্ধে তাদের জাতীয় দলকে ‘অপহরণ’ করার অভিযোগ তুলল ভেনেজুয়েলা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের পর্বের ম্যাচে দু’দেশের খেলা ১-১ ড্র হওয়ার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। ম্যাচেও প্রচুর ঝামেলা হয়েছে।
ভেনেজুয়েলার অভিযোগ, ম্যাচের পর ফুটবলারদের নিয়ে বিমানে দেশে ফেরার সময় ঝামেলা বাঁধে। পেরু সরকার কিছুতেই ভেনেজুয়েলার বিমানে তেল ভরতে রাজি হয়নি। ফলে বিমান দাঁড়িয়ে থাকে পেরুর বিমানবন্দরেই। সমাজমাধ্যমে ভেনেজুয়েলার বিদেশমন্ত্রী ইভান গিল লিখেছেন, “ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আবার স্বেচ্ছাচারী কাজকর্ম শুরু করেছে পেরু। ফুটবলারদের দেশে ফেরার বিমানে তেল ভরতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দল মাঠে ভাল খেলেছে বলে তার প্রতিশোধ অন্য ভাবে নেওয়া হচ্ছে। এটা এক ধরনের অপহরণ।”
পেরুর সরকার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা বাণিজ্যিক বিমান নিয়ে এসেছে। তাদের নিজস্ব কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। এর উপর পেরু সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সমস্যা সমাধানের দ্রুত চেষ্টা করা হচ্ছে।”
শুধু এটাই নয়, ভেনেজুয়েলার অভিযোগ, তাদের ফুটবলারেরা ম্যাচের পর যখন নিজের দেশের সমর্থকদের সঙ্গে হাত মেলাতে গিয়েছিলেন তখন তাঁদের উদ্দেশে লাঠি চালিয়েছে পেরুর পুলিশ। ভেনেজুয়েলার ফুটবলার নাহুয়েল ফেরারেসির ডান হাতে ব্যান্ডেজের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলেছেন, “এ ধরনের ঘটনা ঘটা মোটেই উচিত নয়। ম্যাচের পর সমর্থকদের অভিবাদন জানাতে গিয়ে এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে এটা ভাবিনি।”
ম্যাচের পর আরও কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে পেরুর পুলিশকে দেখা গিয়েছে লাঠি নিয়ে ভেনেজুয়েলার ফুটবলারদের তাড়া করতে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়েছে মাঠের এই ঘটনার পর। সম্প্রতি পেরুর সরকার একটি আইন করেছে যেখানে সমস্ত বেআইনি অভিবাসীকে সে দেশ থেকে তাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। দেশের আর্থিক মন্দার জেরে পেরুতে থাকেন ১৫ লক্ষ ভেনেজুয়েলাবাসী। তাঁরা অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছেন।