সমর্থকের ভালবাসার অত্যাচারের হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন মেসি। ছবি: রয়টার্স
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে প্যারিস সঁ জরমঁ। লিয়োনেল মেসির এ বারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা হচ্ছে না। তবে ম্যাচের মাঝেই বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন মেসি। আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে আলিঙ্গন করতে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন এক সমর্থক। মেসিকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁকে প্রায় ধাক্কাই মেরে দিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। অল্পের জন্য বেঁচে যান মেসি।
যে সময়ে ঘটনাটি ঘটে, তখন পিএসজি পিছিয়ে ছিল ০-২ ব্যবধানে। প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়া তখন প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে পিএসজির। সেই সময় মাঠের ধারে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে ছুটে আসতে থাকেন এক সমর্থক। মেসির কাছাকাছি প্রায় এসেই পড়েছিলেন। ফুটখানেকের দূরত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেন এক নিরাপত্তারক্ষী। পরে বাকি নিরাপত্তারক্ষীরা এসে ওই সমর্থককে সরিয়ে নিয়ে যান। গোটা ঘটনায় মেসি হতচকিত হয়ে পড়েছিলেন। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষে নিরাপত্তারক্ষীদের এড়িয়ে মাঠে এক ধারে চলে যান।
প্রথম পর্বের খেলায় পিএসজির ঘরের মাঠে ১-০ জিতেছিল বায়ার্ন। বুধবার রাতে দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের ঘরের মাঠে আরও দাপট নিয়ে খেলল তারা। তার মধ্যেই সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন পিএসজির ভিটিনহা। বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সমারকে পরাস্তও করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোললাইন সেভ করেন ডি লিট।
প্রথমার্ধে গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল হল। তবে দু’টিই পিএসজির বিরুদ্ধে। ৬১ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন এরিক ম্যাক্সিম চৌপো মোটিং। গোরেৎজ়কার পাস ধরে গোল করেন তিনি। ৮৯ মিনিটে খেলার ভাগ্য নিশ্চিত করে দেন সার্জে ন্যাব্রি। বায়ার্নের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। দুই পর্ব মিলিয়ে জার্মানির ক্লাব জেতে ৩-০ গোলে।
চোটের কারণে দলে ছিলেন না নেমার। কিন্তু এমবাপে, মেসি দু’জনেই ৯০ মিনিট খেললেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে একার দক্ষতায় দলকে ফিরিয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু ক্লাবের হয়ে সেটা পারলেন না তিনি। এমবাপেকে সারা ক্ষণ আটকে রাখল বায়ার্নের রক্ষণ। ফলে মেসি একা হয়ে গেলেন। তিনিও গোলের মুখ খুলতে পারলেন না।