রোনাল্ডোর সঙ্গে নিজস্বী তুলছেন এক দর্শক। ছবি: রয়টার্স।
শনিবার পর্তুগাল-তুরস্ক ম্যাচের পর ফুটবলারদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠে গিয়েছে বড়সড় প্রশ্ন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে নিজস্বী তুলতে চেয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন ছ’জন। এই ঘটনা আটকাতে নড়েচড়ে বসেছে উয়েফা। তারা জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ রকম হলে সেই সমর্থকের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে কড়া শাস্তি।
শনিবারের ম্যাচে চার জন ম্যাচ চলাকালীন এবং দু’জন ম্যাচের পর মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন রোনাল্ডোর সঙ্গে নিজস্বী তোলার জন্য। এর মধ্যে এক খুদের সঙ্গেই হাসিমুখে ছবি তুলেছেন রোনাল্ডো। বাকিদের আচরণে বেশ বিরক্তও হন। ম্যাচের পর এক পিচ অনুপ্রবেশকারীকে আটকাতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পর্তুগিজ় ফুটবলার গনসালো রামোসের।
রবিবার রাতের দিকে উয়েফা জানিয়েছে, জার্মানির ১০টি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। নিয়ম ভেঙে যদি কোনও দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েন তা হলে তখনই তাঁকে স্টেডিয়াম থেকে বার করে দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতার বাকি কোনও ম্যাচে তাঁকে কোনও স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হবে।
তিন সপ্তাহ আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে এক ইউটিউবার জানিয়েছিলেন, যাঁরা মাঠে ঢুকবেন তাঁদের জন্য তিনি আর্থিক পুরস্কার দেবেন। সেই ম্যাচে মাঠে ঢুকেছিলেন তিন জন।
উল্লেখ্য, তুরস্ক ম্যাচের পর পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্তিনেস বলেন, “এটা খুবই চিন্তার বিষয়। আজ নেহাত দর্শকদের মতিগতি ভাল ছিল। দলের তারকা ফুটবলারকে তাঁর দেশের লোকেরা ভালবাসবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সেটা পছন্দও করি। তবে এটাও মানতে হবে কারও মতিগতি ঠিকঠাক না থাকলে সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। তখন খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আমার মনে হয় না খেলোয়াড়দের সুরক্ষা নিয়ে আপস করা উচিত। দর্শকদের কাছেও একটা বার্তা দিয়ে বলা উচিত যে, এটা ঠিক নয়।”