প্রস্তুতি: ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে জনি কাউকো। নিজস্ব চিত্র
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী কখনও করা যায় না। এই ম্যাচ একেবারেই আলাদা। তবে ডুরান্ড কাপে এখনও পর্যন্ত দুই প্রধানের যা খেলা দেখেছি, আমার মতে রবিবার যুবভারতীতে একটু এগিয়ে থাকবে মোহনবাগানই।
রাজস্থান ইউনাইটেড এফসির কাছে প্রথম ম্যাচে ২-৩ গোলে হেরে গিয়েছিল কিয়ান নাসিরি-রা। দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-র সঙ্গে ১-১ ড্র করে। এই দু’টি ম্যাচেই দেখেছি মোহনবাগানের সবচেয়ে চিন্তার জায়গা রক্ষণ। বিপক্ষ দল একটু চাপ দিলেই সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে ডিফেন্ডাররা। আমি মনে করি, এই ডার্বিতে জুয়ানের উচিত আক্রমণাত্মক রণনীতিকে অস্ত্র করা। তা হলেই মোহনবাগানের পক্ষে জেতা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
ফুটবলে বলা হয় আক্রমণাত্মক রণকৌশলই হল রক্ষণের দুর্বলতা ঢেকে রাখার সেরা উপায়। আমার মতে এই ডার্বিতে মোহনবাগানের উচিত শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপানো। রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো দুই দুর্ধর্ষ স্ট্রাইকার এ বার নেই ঠিকই। কিন্তু হুগো বুমোস, লিস্টন কোলাসো, আশিক কুরুনিয়ন, কিয়ান নাসিরি, মনবীর সিংহের মতো ফুটবলার রয়েছে আক্রমণভাগে। প্রত্যেকেরই দ্রুত গতিতে বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়ার ক্ষমতা রয়েছে। মোহনবাগান যদি আক্রমণাত্মক খেলে, তা হলে চাপে পড়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমত ওরা খুব বেশি দিন প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পায়নি। দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষ যদি ঘনঘন আক্রমণে ওঠে, তখন ইস্টবেঙ্গলের প্রধান লক্ষ্য থাকবে যে কোনও মূল্যে গোল খাওয়া আটকানো। সেটা করতে গিয়েই ওদের আক্রমণে ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। চাপ কমে যাবে মোহনবাগান রক্ষণে। আমার মনে হয়, জুয়ানের উচিত রবিবার শুরু থেকেই কিয়ানকে খেলানো। আগের ডার্বিতে ও হ্যাটট্রিক করেছিল। তাই বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে।
জুয়ান যদি ডার্বির চাপ সামলাতে না পেরে ধীরে চলো নীতি নেয়, তা হলেই বিপদে পড়বে। আগের দু’টি ম্যাচে মোহনবাগানের ডিফেন্ডারদের খেলা দেখে মনে হয়েছে, ওদের মধ্যে বোঝাপড়া এখনও ঠিক ভাবে গড়ে ওঠেনি। ফ্লোরেন্টিন পোগবার আরও সময় লাগবে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। একই কথা প্রযোজ্য ব্রেন্ডন হামিলের ক্ষেত্রেও।