পিকে ও শাকিরার বিচ্ছেদ হয়েছে। বিচ্ছেদের পর থেকে তাঁদের সম্পর্কের তিক্ততা আরও বেড়েছে। —ফাইল চিত্র
বিচ্ছেদের পরে কি এ বার ফুটবলার জেরার্ড পিকে-কে খুন করতে চান শাকিরা। তাঁর ঠোঁটে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
সম্প্রতি একটি টিকটক ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে শাকিরার। সেখানে একটি পপ গান ‘আই মাইট কিল মাই এক্স’ (বাংলা অর্থ, আমি নিজের প্রাক্তনকে খুন করতে পারি)-এ ঠোঁট মেলাতে দেখা যায় শাকিরাকে। সেই সময় ঘর পরিষ্কার করছিলেন তিনি। শাকিরার সেই ভিডিয়ো প্রকাশ পাওয়ার পরে ভক্তদের প্রশ্ন, তবে কি নিজের প্রাক্তন পিকে-কে এ বার খুন করতে চান শাকিরা! এতটাই তিক্ততা তাঁর মনের মধ্যে।
বিচ্ছেদের পর থেকে তিক্ততা বেড়েই চলেছে পিকে-শাকিরার। এর আগে নিজের নতুন গানে প্রাক্তনের সমালোচনা করেছিলেন শাকিরা। গানের ছত্রে ছত্রে পিকে-কে বিঁধেছিলেন কলম্বিয়ান গায়িকা। শাকিরার গানে বিভিন্ন কথা পিকের উদ্দেশে লেখা বলে মনে করেছেন অনেকে। সেখানে বলা হয়েছে, “টুইঙ্গো গাড়ি (কম দামি গাড়ি) কেনার ক্ষমতা যার, সে নাকি ফেরারি (বিলাসবহুল গাড়ি) কিনতে এসেছে।” আর একটি লাইনে বলা হয়েছে, “ক্যাসিয়োর ঘড়ি (কম দামি) পরার সামর্থ্য নেই, সে কিনতে গিয়েছে রোলেক্স (বহুমূল্য ঘড়ি)।” অপর একটি লাইনে বলা হয়েছে, “আমার মতো নেকড়েজাতীয় মহিলা তোমার মতো পুরুষের জন্য নয়।”
শাকিরার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ক্লারা চিয়া মার্তির সঙ্গে নিজের প্রেমের কথা ঘোষণা করেছেন পিকে। কয়েক দিন আগেই নিজের ইনস্টাগ্রামে প্রেমিকার সঙ্গে ছবি দিয়েছেন পিকে। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শাকিরা এখন অতীত। নতুন প্রেমিকাকে নিয়ে খুশি তিনি। তবে সবটা কি এতটাই সহজ ছিল! স্পেনের ক্রীড়া সাংবাদিক জর্ডি মার্টিন জানিয়েছেন, শাকিরার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে আফসোস করছিলেন পিকে। এক মাস পরে তিনি শাকিরার কাছে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু শাকিরা সেই সম্পর্ক আর নতুন করে শুরু করতে চাননি। তার পরে পাকাপাকি ভাবে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের।
মার্টিন আরও দাবি করেছেন, আগেও নাকি অনেক বার অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পিকে। সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছিলেন শাকিরা। কিন্তু ক্লারার সঙ্গে পিকের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তিনি। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন শাকিরা। পিকে অবশ্য আগের সব বারের মতো এ বারও শাকিরার কাছে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ বার আর পিকের আবদার রাখেননি কলম্বিয়ার পপ তারকা।
স্পেনের সাংবাদিক লোরেনা ভাজ়কেজ় জানিয়েছেন শাকিরার ভয়ে রাস্তায় বেরাতে পারছেন না ক্লারা। তিনি একটি রিপোর্টে লিখেছেন, রাস্তায় বেরোলেই শাকিরা-ভক্তদের রোষের মুখে পড়ছেন ক্লারা। তাঁকে অনেক কটূক্তি শুনতে হচ্ছে। সেই কারণে বাড়ির বাইরে বার হচ্ছেন না ক্লারা। বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতেই রয়েছেন। সেখান থেকেই অফিসের কাজ সামলাচ্ছেন। এমনকি বাইরের কারও সঙ্গে কথাও বলছেন না ২৩ বছর বয়সি ক্লারা। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্রুপের মুখে পড়ছেন পিকে নিজেও।