প্রস্তুতি: পিএসজির অনুশীলনে খোশমেজাজে মেসি। রয়টার্স
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্য ইতিমধ্যেই পূরণ হয়ে গিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, প্যারিস সাঁ জারমাঁ, লিভারপুল, স্পোর্টিং লিসবনের। কিন্তু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে রিয়াল মাদ্রিদ নক-আউটে উঠবে কি না, এখনও নিশ্চিত নয়।
মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে পিএসজির প্রতিপক্ষ ক্লাব ব্রাগে। নিয়মরক্ষার দ্বৈরথ হলেও লিয়োনেল মেসিদের কাছে এই ম্যাচের তাৎপর্যই আলাদা। প্রথম পর্বে বেলজিয়ামের দলের বিরুদ্ধে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না আর্জেন্টিনীয় তারকা। ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল ম্যাচটি। এ বার যে কোনও মূল্যে জিততে মরিয়া পিএসজি। কিন্তু এই ম্যাচের আগে মেসির মনে পড়ে যাচ্ছে ২০০৬ সালে আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারিয়ে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সেই রাত। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকায় ফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। হতাশায় উৎসবে যোগ দেননি মেসি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘ ওই ম্যাচে রিজ়ার্ভ বেঞ্চেও থাকতে পারলে খুশি হতাম।’’ সপ্তমবার বাঁল দ্যর-জয়ী তারকা যোগ করেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো প্রতিযোগিতায় বারবার জেতা খুব কঠিন। তাই ভীষণ ভাবেই দলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম আমি।’’
হতাশ পিএসজি-র আর এক তারকা কিলিয়ান এমবাপেও। তিনি অবশ্য ক্ষুব্ধ এই গ্রীষ্মে পিএসজি তাঁকে না ছাড়ায়। এমবাপে বলেছেন, ‘‘সব সময়ই বড় ক্লাবে খেলতে চাই। তাই হতাশ হয়েছিলাম।’’ এর পরেই অবশ্য যোগ করেছেন, ‘‘যদিও আমি তৃতীয় ডিভিশনের কোনও দলে খেলছি না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে চাওয়া ক্লাবেই রয়েছি।’’ নিয়মরক্ষার ম্যাচ বলেই আরবি লাইপজ়িসের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশের অধিকাংশ ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছেন পেপ গুয়ার্দিওলা। তবে তিনি উদ্বিগ্ন জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকা নিয়ে। ম্যান সিটি ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘জার্মানির অবস্থা ভাল নয়। মুখাবরণ পরে থাকতে হবে। শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।’’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় লিভারপুলের খেলা নিশ্চিত। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে লিভারপুল ম্যাচের উপরেই নির্ভর করছে এসি মিলানের ভাগ্য। ‘বি’ গ্রুপে পাঁচ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন মহম্মদ সালাহ-রা। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে পোর্তো। পাঁচ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে তিনে এসি মিলান। তাই শুধু লিভারপুলকে হারালেই হবে না, এসি মিলানকে তাকিয়ে থাকতে পোর্তোর দিকেও। রিয়াল মাদ্রিদের পাখির চোখ ইন্টার মিলানকে হারিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।