নায়ক: গোল করে উল্লাস নিকলাস ফুলক্রুগের। বৃহস্পতিবার। পিটিআই।
দাপট ছিল প্যারিস সঁ জরমঁ-র। বল দখলের লড়াইয়েও এগিয়ে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপেরা। কিন্তু শেষ হাসি হাসল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে নিকলাস ফুলক্রুগের একমাত্র গোলে জয়ী বরুসিয়া।
প্রথমার্ধে পিএসজি তিনটি শট নিলেও একটিও গোলে ছিল না। প্রথম ৪৫ মিনিটে আক্রমণেও কিছুটা পিছিয়ে ছিল পিএসজি। ৩৬ মিনিটে সেন্টার লাইনের পিছন থেকে নিকো শ্লোটারবেকের পাস দারুণ ভাবে ডান পায়ে রিসিভ করেন জার্মান স্ট্রাইকার ফুলক্রুগ। সঙ্গে সঙ্গেই বাঁ পায়ের শটে দোনারুম্মাকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে দেন।
দ্বিতায়ার্ধে বারবার আক্রমণ শানাতে থাকে পিএসজি। বরুসিয়ার ত্রাতা হয়ে ওঠেন সুইস গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল এবং গোলপোস্ট। ৫১ মিনিটে এমবাপের বাঁক খাওয়ানো শট পোস্টে লাগে। ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপন্মুক্ত করতে পারেনি, ফিরতি বলে ফের শট নেন আশরফ হাকিমি। কিন্তু এ বারেও সেই পোস্ট। আক্রমণ, প্রতিআক্রমণের খেলা চললেও আর গোল আসেনি।
অন্য দিকে বরুসিয়ার কোচ এডিন তেরজ়িচ বলেন, “দলগত পারফরম্যান্সের ফলে এই জয় পেয়েছি। আমরা আরও গোল করতে পারতাম। যাই হোক ফলাফলে আমি খুশি।” দ্বিতীয় পর্বে ড্র করলেই ওয়েম্বলিতে ফাইনাল খেলবে বরুসিয়া। সেই প্রসঙ্গে বলেন, “ওয়েম্বলিতে
নিজেদের জায়গা অর্জন করতে হবে। ড্র করলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলব। কিন্তু ড্র নয়, আমরা জিতেই ফাইনালে যেতে চাই।”
ম্যাচের পরে পিএসজি ম্যানেজার লুইস এনরিকে বলেন, ‘‘ম্যাচে সমানে সমান লড়াই হয়েছে। ড্রেসিংরুমে ছেলেরা একটু হতাশ। আমি নিশ্চিত, আমরা প্যারিসে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে আরও শক্তিশালী হয়ে জয়ে ফিরব।’’