Mohun Bagan

শনিবারও অনিশ্চিত হাবাস, লিগ-শিল্ডের লড়াইয়ে তবু পঞ্জাবকে হারাতে মরিয়া মোহনবাগান

শনিবার পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামবে মোহনবাগান। অসুস্থতার কারণে সেই ম্যাচেও ডাগআউটে না-থাকার সম্ভাবনা কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের। সবুজ-মেরুন তবু জিততে মরিয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২০
Share:

মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো হাবাস। — ফাইল চিত্র।

শনিবার আইএসএলে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামবে মোহনবাগান। তবে অসুস্থতার কারণে সেই ম্যাচেও ডাগআউটে না-থাকার সম্ভাবনা কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের। গত দু’দিনে তাঁকে ছাড়াই অনুশীলন করেছে দল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকেও হাবাস এলেন না। সহকারী কোচ ম্যানুয়েল পেরেসকেই প্রশ্নবাণ সামলাতে হল। আগের ম্যাচেই হাবাস-হীন মোহনবাগান হেরেছে চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে পুরো পয়েন্ট না পেলে লিগ-শিল্ডের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে যাবে মোহনবাগান।

Advertisement

ম্যাচের আগে পেরেস জানিয়েছেন, হাবাসের না থাকা অবশ্যই ক্ষতি। কারণ হাবাসের অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু হাবাস যে শিক্ষা এবং কোচিং দর্শন দলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন সেটা মাথায় রেখেই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে দল। তবে চেন্নাইয়িন ম্যাচে হাবাসের অনুপস্থিতি বার বার বোঝা গিয়েছে। শেষ মুহূর্তে মোহনবাগানের খেলায় যে রকম গাফিলতি দেখা গিয়েছিল তা সমর্থকেরা মানতে পারছেন না। তবে পেরেস জানিয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই বিশ্রামে রাখা হয়েছে হাবাসকে। তিনি সুস্থ থাকলে শনিবার সকালে দিল্লি যেতে পারেন। তবে ম্যাচ যে হেতু বিকেল ৫টা থেকে, তাই সকালে গিয়েই বিকেলে ডাগআউটে বসে পড়া বেশ কঠিন। মোহনবাগান শুক্রবারই রওনা দিয়েছে দিল্লির উদ্দেশে।

চেন্নাইয়িন ম্যাচে হারের কথা মাথাতেই রাখতে চান না পেরেস। তিনি বলেছেন, “ওটা অতীত। ওই হার থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি এবং সেই মতো অনুশীলন করেছি। আপাতত আমাদের ফোকাসে পঞ্জাব ম্যাচ। তিন পয়েন্টই আসল লক্ষ্য।” পঞ্জাবের বিরুদ্ধে রুদ্ধদ্বারে খেলতে হবে মোহনবাগানকে। ফলে দিল্লির সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে মাঠে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগ নেই। এটা কতটা কঠিন? পেরেসের উত্তর, “অবশ্যই কঠিন। সমর্থকদের মাঝে খেলেই আমরা অভ্যস্ত। শেষ বার কোভিডের সময় রুদ্ধদ্বারে খেলেছিলাম। সমর্থকদের মিস্ করব।”

Advertisement

হাবাসকে ছাড়া মাঠে নামা কতটা কঠিন সে প্রসঙ্গে পেরেসের উত্তর, “ওঁর অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই পেশাদার। এ রকম সময় ফুটবলে আসতেই পারে। কোচকে ছাড়াই খেলতে হতে পারে আমাদের। ঘাবড়াচ্ছি না। কোচের পরামর্শ প্রত্যেকের মাথায় রয়েছে।” পেরেস জানিয়েছেন, পঞ্জাব ম্যাচে খেলবেন জনি কাউকো। তিনি ফিট। তাই প্রথম একাদশে নিশ্চিত। বলেছেন, “জনি খেলায় মাঝমাঠের শক্তি বাড়বে। আমাদের সামনে এখন তিনটে ফাইনাল রয়েছে। তবে প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। আপাতত ফোকাসে শুধুই পঞ্জাব ম্যাচ।” তবে সাহালের চোট এখনও সারেনি। তিনি দলের সঙ্গে দিল্লি যাননি।

হাবাসকে ছাড়া খেলা যে কঠিন সেটা মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক শুভাশিস বসুও। তিনি বলেছেন, “হাবাস দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দলের ফর্মেশন, কৌশল সব খেয়াল রাখেন। আমাদের তাতাতেও জুড়ি নেই। ওঁর ভূমিকা অসামান্য। আশা করি উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন। আমরা পেশাদার। তাই কঠিন সময়ে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে সেটা জানি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement