ISL 2024-25

ডার্বির আগে সমস্যায় মহমেডান, ইস্তফা কোচের, বেতন না পাওয়ার অভিযোগ চেরনিশভের

অভিযোগ তিন মাসের বেতন পাননি তিনি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে দায়িত্ব ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন। শনিবার মহমেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে মোহনবাগানের। তার আগেই দায়িত্ব ছাড়লেন চেরনিশভ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৭
Share:

আন্দ্রে চেরনিশভ। —ফাইল চিত্র।

সমাজমাধ্যমে হঠাৎ পোস্ট। আইএসএলের মাঝেই দায়িত্ব ছাড়লেন মহমেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। অভিযোগ তিন মাসের বেতন পাননি তিনি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে দায়িত্ব ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন। শনিবার মহমেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে মোহনবাগানের। তার আগেই দায়িত্ব ছাড়লেন চেরনিশভ।

Advertisement

মহমেডানকে আইলিগ জেতালেও আইএসএলে সে ভাবে সফল হতে পারেনি কোচ। ১৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট সকলের শেষে মহমেডান। চেরনিশভ বুধবার সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “আমার কোচিং কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিন এবং দুঃখের সিদ্ধান্ত। মহমেডানের সঙ্গে আমার যেমন ঝগড়া হয়েছে, তেমন ভালবাসাও ছিল। তবে আমি পেশাদার কোচ। তিন মাস বেতন ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়। এই মরসুমে যে যে সমস্যা হয়েছে, তা নিয়ে আমি কথা বলব না। কখনও সমস্যাকে ভয় পাইনি। সব সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এটা চলতে পারে না। চোখে জল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম। এর দায় ক্লাব কর্তাদের। তাঁরা চুক্তি ভঙ্গ করেছেন।”

মহমেডানে আর্থিক সমস্যা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে। ফুটবলারেরাও বেতন পাচ্ছেন না। তাঁরা অনুশীলনেও নামতে অস্বীকার করেছেন সেই কারণে। এক সপ্তাহ আগে এক দিন অনুশীলনে গিয়েও প্রথমে মাঠে নামেননি ফুটবলারেরা। কিন্তু ক্লাব বা বিনিয়োগকারীদের তরফে কেউ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেননি, যে কারণে অনুশীলন করেননি মহমেডান ফুটবলারেরা। মিরজালল কাশিমভেরা ভেবেছিলেন, ক্লাব বা বিনিয়োগকারীদের তরফে কেউ এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। সমস্যা সমাধানের দিশা দেখাবেন। কিন্তু সাদা-কালো কর্তারা এ দিন ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে আসেননি। শুধু শ্রাচী স্পোর্টসের এক প্রতিনিধি এসেছিলেন মাঠে। আসেননি আর এক বিনিয়োগকারী বাঙ্কারহিলের কোনও প্রতিনিধিও। বসে থেকে হতাশ ফুটবলারেরা হোটেলে ফিরে যান। মাঝে এক বার ফ্লোরেন্ট ওগিয়ার, জোসেফ অ্যাডজেইয়েরা মাঠে নামলেও বল স্পর্শ করেননি। কাশিমভের মতো পুরনো ফুটবলারেরা নতুনদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে তেমন লাভ হচ্ছে না। বিশেষ করে নতুন বিদেশি ফুটবলারেরা নিজেদের অবস্থানে অনড়।

Advertisement

‘মউ’ অনুযায়ী, ক্লাবের শেয়ার না পেলে নতুন করে বিনিয়োগ করতে রাজি নয় দুই বিনিয়োগকারী সংস্থাই। ‘মউ’য়ের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কোনও সংস্থাই বকেয়া মেটানোর দায়ও নিতে চাইছে না। আবার ফুটবলারেরাও বকেয়া বেতন না পেলে মাঠে নামতে নারাজ। মহমেডান কর্তারা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছেন। দুই সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। এর মাঝেই দায়িত্ব ছাড়লেন কোচ। যা আরও সমস্যায় ফেলে দিল দলকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement