উল্লাস: গোলের পরে ফিল ফোডেন। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। ছবি: রয়টার্স।
জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ ষোলো পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে এফসি কোপেনহেগেন-কে। পিছিয়ে নেই কার্লো আনচেলোত্তির রিয়াল মাদ্রিদও। মঙ্গলবার তারাও অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে আরবি লাইপজ়িগের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার ম্যাচের দশ মিনিটেই ম্যান সিটিকে এগিয়ে দেন চোট সারিয়ে ফেরা বেলজিয়ামের তারকা কেভিন দ্য ব্রুইন। কিন্তু ৩৪ মিনিটে ম্যাটসনের গোলে সমতা ফেরায় কোপেনহেগেন। কিন্তু সেই উল্লাস বেশি ক্ষণ স্থায়ী ছিল না। বিরতির আগে ম্যান সিটিকে ফের এগিয়ে দেন বের্নার্দো সিলভা। সংযুক্ত সময় গোল করেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ফিল ফোডেন। ম্যাচের পরে উল্লসিত ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা বলেছেন, ‘‘বড় মঞ্চে বড় মানের ফুটবলাররা কী ভাবে নিজেদের দক্ষতা মেলে ধরে, তা প্রমাণ হয়ে গেল। বাইরের মাঠে জয় সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। তবে আমাদের কাজ সবে শুরু হল। আরও ভাল ফুটবল খেলতে হবে।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ঠিক সময় কার্যকরী ফুটবল খেলেছে দল। বিশেষ করে, তৃতীয় গোলটা খুব প্রয়োজনীয় ছিল।’’ তবে জয়ের রাতে চিন্তা বাড়িয়েছে জ্যাক গ্রিলিশের চোট। প্রথমার্ধেই চোট পেয়ে তিনি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের পরে মঙ্গলবার আবার মাঠে নেমেছিলেন গ্রিলিশ। তবে পেপ বলেছেন, ‘‘চোট তেমন গুরুতর বলে মনে হয় না। সম্ভবত পেশিতে টান ধরায় জ্যাক মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আমার বিশ্বাস, দ্রুত সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরবে।’’ যোগ করেন, ‘‘তবে এই সময় চোট-আঘাত থেকে দলকে যতটা মুক্ত রাখা যায়, ততই ভাল। সামনের ম্যাচগুলো আরও কঠিন হতে চলেছে। সেখানে আমি পূর্ণশক্তির দল-ই চাই।’’
এ দিকে, মঙ্গলবার লাইপজ়িগের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৪৮ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেছেন ব্রাহিম দিয়াস। চোটের কারণে মঙ্গলবার মাঠে ছিলেন না ইংল্যান্ড তারকা জুড বেলিংহ্যাম। আক্রমণে তাঁর অভাব বারবার বোঝা গিয়েছে। তবে দলের এই লড়াকু জয়েই সন্তুষ্ট ম্যানেজার কার্লো আনচেলোত্তি। তিনি বলেছেন, ‘‘বুন্দেসলিগার যে কোনও দলই খুব শক্তিশালী হয়ে থাকে। ওরা শরীরী ফুটবলে বিশ্বাস করে। আমাদের দল সেই প্রতিরোধ অতিক্রম করে জয় নিশ্চিত করে নিয়েছে।’’
চোটে এই মুহূর্তে বিপর্যস্ত রিয়াল মাদ্রিদ শিবির। মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন দাভিদ আলাবা, থিবো কুর্তোয়া, আন্তিনিয়ো রুডিগার, এদের মিলিতাও। তার পরেও রিয়ালের জয় পাওয়াকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন আনচেলোত্তি। তিনি বলেছেন, ‘‘এত চোট সামলেও দল যে ফুটবল খেলেছে, তার জন্য গর্বিত।’’ দিয়াসের প্রশংসা করে আনচেলোত্তি বলেছেন, ‘‘এসি মিলানে খেলার সময় থেকেই আমি ওকে নজর করেছি। যেমন শক্তিশালী, তেমনই সুযোগসন্ধানী। খুব বেশি ম্যাচ হয়তো ব্রাহিম খেলেনি কিন্তু ও যে মানসিক ভাবে তৈরি, সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’