স্বস্তি: গোলের পরে সালাহ। রবিবার ইপিএলে। রয়টার্স
২০১২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত অ্যানফিল্ড দ্বৈরথে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি আর্সেনাল। রবিবার ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না মিকেল আর্তেতার দলের। অনবদ্য ফুটবলে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে লিভারপুল শুধু নিজেদের মানই বাঁচাল না, তারই সঙ্গে ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপও যেন পায়ের নীচে খুঁজে পেলেন খানিকটা শক্ত মাটি।
আট মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি এবং ২৮ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলে আর্সেনাল এগিয়ে যাওয়ার পরে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি, এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচে ফিরে আসবে লিভারপুল। কিন্তু ম্যাচের রং পাল্টাতে শুরু করে ৪২ মিনিটে মহম্মদ সালাহ গোল করার পরে। যদিও পরে মিশরের তারকা পেনাল্টি নষ্ট করেন। ৮৭ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোর গোলে জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় খেতাবি দৌড়ে এগিয়ে চলা আর্সেনালের।
৩০ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল আর্সেনাল। কিন্তু ম্যাচের ফল নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না মিকেল আর্তেতা। আর্সেনাল ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘২-০ এগিয়ে যাওয়ার পরে মনে হয়েছিল ম্যাচ আমাদের হাতে চলে এসেছে। কিন্তু পরের দিকে ম্যাচে ফুটবলাররা নিজেদের আধিপত্য সে ভাবে বজায় রাখতে পারেনি। লিভারপুল দলকে অভিনন্দন, তারা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এই ম্যাচ বড় শিক্ষা দিয়ে গেল। পরের ম্যাচে এমন ভুল শুধরে নিতে হবে আমাদের। তবে এমন রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়াও আমার কাছে যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে হয়েছে।’’ আর্তেতা মেনে নিয়েছেন, একটা সময় লিভারপুলের ক্রমাগত আক্রমণ তাঁকেও প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছিল।
২৯ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে রইল লিভারপুল। তবে রবিবার তাঁর দলের ফুটবল দেখে সন্তুষ্ট ক্লপ। তিনি বলেছেন, ‘‘দু’গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরে যে কোনও দলের পক্ষেই আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছিলাম।’’ যোগ করেন, ‘‘সালাহ পেনাল্টি নষ্ট না করলে কী হতে পারত, সেটা নিয়ে নতুন করে আলোচনায় যেতে চাই না। তবে ম্যাচ জেতার মতোই ফুটবল খেলেছে দল। এক পয়েন্টে আমি হতাশ হচ্ছি না।’’