মোহনবাগান-মুম্বই ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: এক্স।
এগিয়ে থেকেও ফাইনালে ১-৩ গোলে হারল মোহনবাগান। আইএসএল ট্রফি জিতল মুম্বই।
সংযুক্তি সময়ে তৃতীয় গোল খেল মোহনবাগান। মুম্বইয়ের জার্সিতে নিজের প্রথম গোল করলেন ইয়াকুব।
জঘন্য রক্ষণ মোহনবাগানের। ভুল করলেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথও। রক্ষণের ভুলে গোল করে গেলেন পরিবর্ত হিসাবে নামা বিপীন সিংহ। এগিয়ে গেল মুম্বই।
খেলা যত নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে এগোচ্ছে তত খেলার গতি মন্থর হয়ে পড়ছে। বেশির ভাগ ফুটবলার ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। বাধ্য হয়ে কয়েক জন ফুটবলার বদলও করতে হয়েছে দু’দলের কোচকে।
বিরতির পরেই সমতা ফেরাল মুম্বই। নগুয়েরার বল ধরে বক্সে ঢোকেন পেরেরা দিয়াজ়। তাঁর সামনে থাকলেও বল বার করতে পারেননি মনবীর। দিয়াজ়ের শট গোলে ঢুকছিল। শেষ মুহূর্তে বার করার করেন হেক্টর। তিনিও পারেননি। বল জালে জড়িয়ে যায়।
খেলার গতির বিপরীতে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। প্লে-অফের দ্বিতীয় পর্বে জেসন কামিংস যে ভাবে গোল করেছিলেন ঠিক তার রিপ্লে দেখা গেল। বক্সের বাইরে বল পেয়ে গোল লক্ষ্য করে শট মারেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। লাচেংপা প্রথম বারে বল বার করতে পারেননি। ফিরতি বল লক্ষ্য করে বাঁ পায়ে টোকায় গোল করেন কামিংস। এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
প্রথমার্ধের শেষে গিয়ে প্রথম সুযোগ পেল মোহনবাগান। অনিরুদ্ধ থাপার থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢোকেন লিস্টন কোলাসো। প্রথম পোস্ট দিয়ে গোল করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন মুম্বই গোলরক্ষক পূর্বা লাচেংপা।
মোহনবাগানকে আবার বাঁচাল পোস্ট। এ বার বিক্রম প্রতাপ সিংহের থেকে বল পেয়ে শট মারেন ছাংতে। বিশাল বলের নাগাল পাননি। বল পোস্টে লেগে ফেরে। সেই বলও বার করতে পারেননি বাগান ফুটবলেরার। দ্বিতীয় বারের জন্য গোলের সুযোগ চলে আসে। কোনও রকমে সেই বল বাঁচান বাগান ডিফেন্ডারেরা।
প্রথম গোল পেয়ে যেতে পারত মুম্বই। ছাংতের বাঁ পায়ের ফ্রি কিকের নাগাল পাননি বিশাল কাইথ। কিন্তু ভাগ্য ভাল ছিল বাগানের। বল বারে লেগে ফেরে। তার পরেও আক্রমণ কমায়নি মুম্বই। বাগানের অর্ধেই হচ্ছে পুরো খেলা।
গত ১০ মিনিট ধরে একের পর এক আক্রমণ করছে মুম্বই। চাপে বাগান রক্ষণ। বক্সের মধ্যে একটি বল হাতে লাগে হেক্টর ইয়ুস্তের। পেনাল্টির আবেদন করেন মুম্বই ফুটবলারেরা। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেননি। বেঁচে গেল মোহনবাগান।
এখনও কোনও দল গোল করতে পারেনি। মুম্বই বেশি আক্রমণ করেছে। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। অন্য দিকে মোহনবাগান কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলছে। এখনও তেমন ভাবে আক্রমণে উঠতে পারেনি তারা।
প্রথম ১০ মিনিটে কোনও দলই ভাল আক্রমণ তুলে আনতে পারেনি। বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না তারা। কিছুটা ছন্নছাড়া ফুটবল হচ্ছে যুবভারতীতে। মাঝমাঠেই খেলা আটকে রয়েছে।
নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছে খেলা। দু’দলই শুরুতে গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।