প্রতীক্ষা: সোমবারের ফাইনালের মহড়ায় মগ্ন মেসি। ছবি রয়টারেস।
অধিনায়ক হিসেবে তাঁর স্বপ্নের অভিযান শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে। মারাকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে হারিয়ে প্রথম বার দেশকে ট্রফি উপহার দিয়েছিলেন অধিনায়ক লিয়োনেল মেসি। তার পরেই কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ স্পর্শ। সোমবার ভারতীয় সময় ভোরে আবারও তিনি এক ট্রফি জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে।
গত মাসে ৩৭ বছরে পা রাখা মেসির দেশের হয়ে এটাই শেষ কোপা আমেরিকা অভিযান। ঠিক যেমন জাতীয় দলে বহু যুদ্ধের সঙ্গী আঙ্খেল দি মারিয়া-ও শেষবারের মতো দেশের হয়ে খেলতে নামবেন। প্রিয় বন্ধুর শেষ ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া লিয়ো। দেশের সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘দি মারিয়া আগেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছিল। ওর সাহচর্য আমি দারুণ উপভোগ করেছি। জয়ের আনন্দ নিয়ে ও যাতে মাঠ ছাড়তে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই ফাইনালে খেলতে নামব।’’ যোগ করেন, ‘‘দি মারিয়ার মতো এত স্পর্শকাতর ফুটবলার খুব কম দেখেছি। ম্যাচে হারি অথবা জিতি, মাঠে এবং মাঠের বাইরে দি মারিয়ার আবেগ বারবার আমার মনকে ছুঁয়ে গিয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে ওর শেষ মুহূর্ত স্মরণীয় করতেই হবে।’’
মায়ামা গার্ডেন্সের হার্ড রক স্টেডিয়ামে সোমবার আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হিসেবে যারা থাকবে, সেই কলম্বিয়ার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান রীতিমতো ঈর্ষাদায়ক। প্রাক্তন আর্জেন্টিনীয় ডিফেন্ডার নেস্তর লোরেনসো দায়িত্ব নেওয়ার পরে কলম্বিয়া সমস্ত প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৮ ম্যাচ অপরাজিত। সতর্ক মেসি তা নিয়ে বলেছেন, ‘‘নেস্তর কোচ হওয়ার পরে কলম্বিয়া দলের খেলার ধরন পাল্টে গিয়েছে। ওরা পুরো সময় এক গতিতে ছুটতে পারে। প্রতিপক্ষ রক্ষণে ঢুকে পড়ে চোখের নিমেষে। আমাদের এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।’’
মেসি আরও বলেন, ‘‘যে কোনও ফাইনাল শুরু হয় অন্য এক মেজাজে। সেখানে অতীতের পরিসংখ্যানের খুব বেশি গুরুত্ব নেই।’’ আরও সংযোজন, ‘‘তবে এই কোপা আমেরিকায় যে ধারাবাহিকতা আমরা দেখিয়েছি, সেটা উপেক্ষা করা যাবে না। এত দিন যে ফুটবল খেলে এসেছি, সেটাই বজায় থাকলে আমরা লক্ষ্য ছুঁতে পারব বলে বিশ্বাস রাখি।’’
কোচ লিয়োনেল স্কালোনিও ফাইনাল নিয়ে সতর্ক। তিনি বলেছেন, ‘‘কোচিংয়ের প্রথম দিন থেকে একটা বিষয়ে বিশ্বাস রেখেছি এবং তা হল এই জীবনটা কোনও সময়ই গোলাপের শয্যা নয়। আমি কলম্বিয়ার খেলার ধরন লক্ষ্য করেছি। সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা অপেক্ষা করে রয়েছে সোমবার।’’ তবে এ-ও বলতে ভোলেননি, ‘‘আমাদের দলে লিয়ো নামে এক অতিমানব রয়েছে, যে নিমেষে ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারে। এমন কেউ থাকলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন তো দেখবই।’’