ম্য়াচের নায়ক দিমিত্রি পেত্রাতোস। সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দিয়ে দলের স্ট্রাইকারের হুঙ্কার। ছবি: টুইটার
আইএসএলে পর পর দু’ম্যাচ জিতল এটিকে মোহন বাগান। দিমিত্রি পেত্রাতোসের করা একমাত্র গোলে অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। ভাল খেলল সবুজ-মেরুন রক্ষণ। সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণদের আটকে রাখলেন প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসুরা।
খেলার শুরুতে লিস্টন কোলাসো, হুগো বুমোসের পায়ে আক্রমণে উঠছিল এটিকে মোহন বাগান। কিন্তু গোল করার প্রথম সুযোগ আসে বেঙ্গালুরুর কাছে। হাভিয়ের হার্নান্দেসের শট একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলা চলছিল। এক দিকে যেমন আশিক কুরুনিয়ান, লিস্টনদের পায়ে আক্রমণে উঠছিল এটিকে মোহনবাগান, অন্য দিকে তেমনই সক্রিয় ছিলেন হার্নান্দেস, কৃষ্ণরা। মাঝমাঠের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল দু’দল। তবে প্রান্ত ব্যবহার করে বেশি আক্রমণে উঠছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ভাল খেলছিলেন আশিক। কিন্তু প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। ঘরের মাঠে চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরুর রক্ষণ। ৬৬ মিনিটের মাথায় অ্যাওয়ে দলের হয়ে গোল করেন পেত্রাতোস। মাঝমাঠে বল পেয়ে বুমোসকে দেন আশিক। পেত্রাতোসের উদ্দেশে থ্রু বল বাড়ান বুমোস। বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে বক্সে ঢোকোন পেত্রাতোস। গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুর বাঁ দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
গোল খাওয়ার পরে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে বেঙ্গালুরু। একের পর এক বল ভেসে আসতে থাকে এটিকে মোহনবাগান বক্সে। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কৃষ্ণ। গোলের মুখ কিছুতেই খুলতে পারছিলেন না তাঁরা। ৮৬ মিনিটের মাথায় শিবা নারায়ণনের শট বারে লেগে ফেরে। অনেক চেষ্ট করলেও গোল করতে পারেনি বেঙ্গালুরু। ০-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
পর পর দুই জয়ের পরে ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ তালিকায় চার নম্বরে এটিকে মোহনবাগান। শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটি এফসির থেকে ৫ পয়েন্ট পিছনে তারা। কিন্তু মুম্বইয়ের থেকে এক ম্যাচ কম খেলেছে এটিকে মোগনবাগান। পরের ম্যাচ জিতলে মুম্বইয়ের আরও কাছে চলে যাবেন বুমোসরা।