মারিও রিভেরা। —ফাইল ছবি
আইএসএল-এর বাকি দু’টি ম্যাচ এখন এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে স্রেফ নিয়মরক্ষার। খুব ভাল কিছু হলে ১১ দলের প্রতিযোগিতায় দশম স্থানে শেষ করতে পারে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই অবস্থায় ছেলেদের উজ্জীবিত করার আর কিছু নেই বলেই মনে করছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা।
রিভেরার মতে লিগের শেষ দিকে দল ভাল খেলেছে। তাঁর লক্ষ্য অন্তত শেষ দু’টো ম্যাচে ভাল ফল করে দশম স্থানে শেষ করা। হারানোর কিছু নেই ইস্টবেঙ্গলের। সে ক্ষেত্রে কি কৌশল বদল বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটবেন কোচ? রিভেরা বলেছেন, ‘‘শেষ দুটো ম্যাচে আমরা জেতার জন্য মরিয়া ছিলাম। আগামী ম্যাচগুলোতেও একই লক্ষ্যে মাঠে নামব আমরা। সব ম্যাচেই আমরা জিততে চাই। যথাসাধ্য চেষ্টা করব জেতার।’’ ফুটবলারদের কি এই পরিস্থিতিতে আর উজ্জীবিত করা সম্ভব? রিভেরা বলেছেন, ‘‘শেষ চার-পাঁচটা ম্যাচ দেখলেই বুঝতে পারবেন, ছেলেদের কীভাবে উজ্জীবিত রাখছি। দল কিন্তু প্রতি দিনই আগের থেকে উন্নত পারফরম্যান্স করছে। মানসিকতা, পারফরম্যান্স, ফুটবল সব কিছুরই উন্নতি হয়েছে। সবাই অনুশীলনে পরিশ্রম করছে। উপভোগ করছে। সবার মেজাজও ফুরফুরে রয়েছে। তাই আলাদা করে আর উজ্জীবিত করার দরকার আছে বলে মনে হয় না।’’
দলে এখনও কয়েক জনের চোট সমস্যা রয়েছে। তা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন রিভেরা। সোমবার ম্যাচের দিন সকালেই বুঝতে পারবেন কারা খেলতে পারবেন। এই অবস্থায় নেপালের অনন্ত তামাং নিয়ে কতটা উপকার হবে দলের। তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে। মাত্র দু’টো ম্যাচে কি আদৌ মানিয়ে নিতে পারবেন নেপালি ডিফেন্ডার? রিভেরা বলেছেন, ‘‘এটা খুব সহজ ব্যাপার। আমাদের এশীয় কোটার এক জন খেলোয়াড় দরকার ছিল। টমিস্লাভ ভাল প্রস্তাব পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছে। তাই একজনকে নিতেই হত।’’ অনন্তকে নেওয়ার বিষয়টা যে নিয়মের জন্য তা এক রকম পরিস্কার করে দিয়েছেন রিভেরা।
গত কয়েকটি ম্যাচে একাধিক কৌশলে খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ দু’টি ম্যাচে নতুন কোনও কৌশল দেখা যাবে কি না, তা নির্ভর করবে প্রতিপক্ষের উপর বলে জানিয়েছেন রিভেরা। লাল-হলুদ কোচ বলেছেন, ‘‘আধুনিক ফুটবলে একই ম্যাচে একাধিক ছক দেখা যায়। ফুটবলাররা জায়গা বদল করে খেলে। এতে ভাল ফুটবল খেলা যায় এবং বিপক্ষকে সমস্যায় ফেলা যায়। দেখুন গত কয়েকটা ম্যাচেই আমাদের খেলার ক্রমশ উন্নতি হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় অনুশীলন ভাল হচ্ছে। দলের সবাই মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। এটা ভাল লক্ষণ। সবাই খেলতে চাইলে বিভিন্ন রকম ছকের কথা ভাবা যায়।’’ ইস্টবেঙ্গল কোচের আশা শেষ দুই ম্যাচেও ভাল ফুটবল উপহার দেবেন তাঁর ফুটবলাররা।