অপ্রতিরোধ্য: গোয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল মহেশের। ফাইল চিত্র।
ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার। লাল-হলুদ জার্সি পরে গোল করার। অবশেষে স্বপ্নপূরণ নওরেম মহেশ সিংহের। বুধবার রাতে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে শুধু জোড়া গোলই তিনি করেননি, অষ্টম আইএসএলে প্রথম জয়ও উপহার দিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলকে।
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ২৪-২৫ কিলোমিটার দূরে নাম্বোল নওরেম গ্রামে বাড়ি ইস্টবেঙ্গলের নতুন তারার। কাঠের কাজ করে কোনও মতে সংসার চালাতেন মহেশের বাবা। প্রবল দারিদ্রের মধ্যেও ছেলেকে ভর্তি করে দিয়েছিলেন স্থানীয় অ্যাকাডেমিতে। বৃহস্পতিবার গোয়া থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে মহেশ বলছিলেন, ‘‘আমার এক দাদা ফুটবল খেলত। ওকে দেখেই আমার আগ্রহ তৈরি হয়। ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। বাবা সময়ই আমাকে দারুণ ভাবে উৎসাহিত করতেন। বলতেন, মন দিয়ে শুধু খেলে যাও।’’ যোগ করলেন, ‘‘মণিপুরের অ্যাকাডেমিতে ফুটবলের প্রাথমিক পাঠ পাই। উন্নত মানের প্রশিক্ষণ পাওয়ার জন্য যাই গুয়াহাটিতে। সেখান থেকে গুরুগ্রামের একটি অ্যাকাডেমিতে।’’
ভারতীয় ফুটবলের মঞ্চে মহেশের আত্মপ্রকাশ ২০১৮-’১৯ মরসুমে শিলং লাজ়ং এফসি-র জার্সিতে। দু’বছরের মধ্যেই কেরল ব্লাস্টার্স সই করায় মহেশকে। কিন্তু খেলার সুযোগ না পেয়ে গত মরসুমে লোনে যোগ দেন আই লিগের ক্লাব সুদেবাতে। এ বার সই করেন ইস্টবেঙ্গলে। কিন্তু অভিষেকের মরসুমে দলের টানা ব্যর্থতার যন্ত্রণায় ক্ষতিবক্ষত হচ্ছিলেন ২২ বছর বয়সি মহেশ। বললেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই ইস্টবেঙ্গলে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। এত দিন জয় অধরা থাকায় মন খারাপ ছিল। গোয়াকে হারিয়ে দারুণ আনন্দ হচ্ছে। কারণ, আইএসএলে আমি প্রথম গোল করলাম প্রিয় ক্লাবের জার্সি পরেই।’’
ম্যাচ স্থগিত: শুক্রবার আইএসএলে জামশেদপুর বনাম মুম্বই ম্যাচও স্থগিত হয়ে গেল। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এই সিদ্ধান্ত।