অনুশীলনে বুমোস। ছবি টুইটার
জামশেদপুরের কাছে লিগের শেষ ম্যাচে হেরে শিল্ড জেতার স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। এ বার তাই ট্রফিই পাখির চোখ হতে চলেছে এটিকে মোহনবাগানের। গত বার লিগ শিল্ড বা ট্রফি কোনওটাই মেলেনি। ফাইনালে হারতে হয়েছিল মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে। এ বার আর সেই ভুল করতে চায় না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যথেষ্ট সতর্ক হয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নামতে চায় তারা। কোচ জুয়ান ফেরান্দো প্রথম পর্বেই ম্যাচের নিষ্পত্তি চান। দ্বিতীয় পর্বের জন্য খেলা ফেলে রাখতে চান না। কিন্তু প্রথম পর্বে জিততে গেলে মোহনবাগানকে একাধিক বাধা টপকাতে হবে।
প্রথম বাধার নাম নিঃসন্দেহে বার্থোলোমিউ ওগবেচে। ১৭ ম্যাচে ১৭ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। বক্সের মধ্যে বল পেলে কী করতে পারেন, সেটা অনেকেই জানেন। তাই নাইজেরীয় স্ট্রাইকারের জন্য পরিকল্পনা তৈরি রাখছেন ফেরান্দো। ম্যাচের আগে বললেন, “আমাদের পরিকল্পনা নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু সেটা এখন বলব না। বল নিজেদের পায়ে রেখে, জায়গা খুঁজে আক্রমণ করাই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আমাদের পরিকল্পনা।” প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ সম্পর্কে যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল স্প্যানিশ কোচ। বলেছেন, “ওরা খুব ভাল দল। হায়দরাবাদ এখন নিজেদের সময়টা উপভোগ করতে চায়। তাই জন্যেই ওদের হারানো কঠিন।”
লিগ-শিল্ড হারালেও দলকে অনুপ্রেরণা দিতে কমতি রাখছেন না ফেরান্দো। বলেছেন, “লিগ-শিল্ড অতীত। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সেমিফাইনাল ও তার পরে ফাইনাল এখন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। তার পরে এএফসি কাপ আছে। আমাদের সামনে এখন অনেক কিছু রয়েছে।” ট্রফি জেতা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “নক আউট মানেই কঠিন লড়াই। যে কোনও ফলই হতে পারে। যেখানে একটা বা দুটো ম্যাচেই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে, সেখানে যে কোনও ফল হতে পারে। এমন নয় যে সামনে কুড়িটা ম্যাচ আছে সামলে নেওয়া যাবে। তাই প্রতিটি মুহূর্তে মনংযোগ নিখুঁত থাকতে হবে এবং সারা ম্যাচে ফোকাসড থাকাটা খুবই জরুরি।”
হায়দরাবাদ এ বার তাদের সব থেকে ভাল মরসুম কাটিয়েছে। মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেরা লিগ পর্বে ১১টি ম্যাচে জিতেছেন। পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে তারা। জামশেদপুরে কাছে হেরে তাদেরও লিগ শিল্ড জয়ের আশা শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে ট্রফি জিততে চায় হায়দরাবাদও। কোচ মার্কুয়েজ বলেছেন, “প্রথম বার আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি। ভাল ছন্দে রয়েছি। এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া।”