প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় ধরে আক্রমণ করে যাওয়ার ফল বিরতির আগেই পায় মোহনবাগান। অতিরিক্ত সময়ে জনি কাউকোর পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের দুরন্ত শটে গোল করে যান কৃষ্ণ। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
উচ্ছ্বাস বাগান ফুটবলারদের ছবি: টুইটার
দরকার ছিল জয়ের। দরকার ছিল তিন পয়েন্টের। দরকার ছিল লিগ তালিকার শীর্ষে থাকা জামশেদপুর এফসিকে ধরে ফেলা। সেটাই হল। চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে জিতে ৩৭ পয়েন্টে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। পৌঁছে গেল আইএসএল-এর সেমিফাইনালে। সেই সঙ্গে লিগ তালিকার শীর্ষে শেষ করার লড়াইয়ে টিকে থাকল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যেত মোহনবাগান। লাল কার্ড দেখে গত ম্যাচে মাঠে নামতে না পারা রয় কৃষ্ণ এই ম্যাচে খেলতে নেমেই গোল পেতে পারতেন। ৩ মিনিটের মাথায় লিস্টন কোলাসোর পাস ধরে কৃষ্ণর শট পোস্টে লেগে ফেরে। গোল না পেলেও শুরু থেকেই চাপ বাড়াতে থাকে বাগান। অন্য দিকে মাঝমাঠে লোক বাড়িয়ে বাগান আক্রমণকে আটকানোর পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল চেন্নাইন। তার ফলে খুব বেশি সুযোগ আসছিল না।
প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় ধরে আক্রমণ করে যাওয়ার ফল বিরতির আগেই পায় মোহনবাগান। অতিরিক্ত সময়ে জনি কাউকোর পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের দুরন্ত শটে গোল করে যান কৃষ্ণ। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে চেন্নাইন। আক্রমণের চাপ বাড়াতে থাকে তারা। ৬৪ মিনিটের মাথায় রিগানের শট পোস্টে লেগে না ফিরলে সমতা ফেরাতে পারত চেন্নাইন। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি রক্ষণাত্মক দেখায় বাগানকে। তার মধ্যেই লিস্টন ও কাউকোকে তুলে নিতে বাধ্য হন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তার ফলে অনেক বেশি বল পেতে শুরু করেন চেন্নাইনের ফুটবলাররা।
বাকি সময়েও গোল শোধ করার অনেক চেষ্টা করে চেন্নাইন। তবে নিজেদের রক্ষণ মজবুত রাখেন বাগান ফুটবলাররা। ফলে গোলের মুখ খুলতে পারেনি চেন্নাইন। ১-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।