লিয়োনেল মেসি। —ফাইল চিত্র।
এর্লিং হালান্ড এবং লিয়োনেল মেসির মধ্যে লড়াই চলছিল ২০২৩ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার। দু’জনেই ৪৮ পয়েন্ট করে পেয়েছিলেন। তবুও বর্ষসেরা ফুটবলার হিসাবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। ভারত থেকে সুনীল ছেত্রী এবং ইগর স্তিমাচ ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের কেউই মেসিকে ভোট দেননি।
ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার দেওয়া হয় ভোটের বিচারে। বিভিন্ন দেশের কোচ, অধিনায়ক এবং সাংবাদিকেরা ভোট দিয়ে বেছে নেন বছরের সেরা ফুটবলারকে। সেখানে ছেত্রী ভোট দিয়েছিলেন হালান্ড, রোদ্রি এবং ভিক্টর ওসিমহেনকে। স্তিমাচ ভোট দেন রোদ্রি, জুলিয়ান আলভারেজ এবং কেভিন ডে ব্রুইনকে। ভারত থেকে এক সাংবাদিকও ভোট দিয়েছেন। তিনিও মেসিকে কোনও ভোট দেননি।
সব ভোট মিলিয়ে সমান হওয়ায় দেখা হয় অধিনায়কদের ভোটে কে এগিয়ে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী ফুটবলারদের ভোটকে প্রাধান্য দেওয়া হবে ফুটবলারদের নির্বাচনে। কোচের ক্ষেত্রে ভোট সমান হলে দেখা হত, কোচেদের ভোটে কে এগিয়ে।
হালান্ড ২০২৩ সালে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫২টি গোল করেন। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে তিনটি ট্রফি জেতেন। এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো প্রতিযোগিতাও রয়েছে। ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেও বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার দাবিদার ছিলেন। কিন্তু তাঁদের সকলকে টপকে সেরার পুরস্কার পেলেন মেসি।
আর্জেন্টিনাকে কাতার বিশ্বকাপ জেতানোর পর ২০২২ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন মেসি। ২০২৩ সালে তিনি চলে যান ইন্টার মায়ামিতে। কিন্তু যাওয়ার আগে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সঁ জরমঁকে লিগ জিতিয়েছিলেন। আমেরিকার ক্লাব মায়ামিকেও লিগ কাপ জিতিয়েছেন।