ভারতীয় ফুটবল দল। —ফাইল চিত্র।
এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭-এর যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের গ্রুপ বিন্যাস হয়ে গেল। ভারত রয়েছে গ্রুপ ‘সি’-তে। দ্বিতীয় রাউন্ডে গ্রুপ ‘এ’-তে ছিল ভারতীয় দল। প্রথম দু’দলের মধ্যে শেষ করতে না পারায় সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ভারত। তৃতীয় রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আগামী এশিয়ান কাপ খেলার ছাড়পত্র পাবে ভারত।
তৃতীয় রাউন্ডে ভারতের গ্রুপের রয়েছে মোট চারটি দল। ভারতকে গ্রুপ ‘সি’-তে খেলতে হবে হংকং, সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ২৪টি দলকে চারটি দলের ছ’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে। এই পর্বে ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচ, ১০ জুন হংকংয়ের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ, ৯ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের সঙ্গে হোম ম্যাচ, ১৪ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ, ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ হংকংয়ের সঙ্গে দেশের মাটিতে খেলবে ভারত। ১২ মাসে ছ’টি করে ম্যাচ খেলতে হবে দেশগুলিকে।
যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে তাজিকিস্তান, ফিলিপিন্স, মলদ্বীপ এবং ইস্ট তিমর। গ্রুপ ‘বি’-তে রয়েছে লেবানন, ইয়েমেন, ভুটান এবং ব্রুনেই। গ্রুপ ‘ডি’-তে রয়েছে তাইল্যান্ড, তুর্কমেনিস্তান, চিনা তাইপে এবং শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ ‘ই’-তে রয়েছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, মায়ানমার এবং পাকিস্তান। গ্রুপ ‘এফ’-এ আছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, নেপাল এবং লাওস।
দ্বিতীয় রাউন্ডে ভারতের গ্রুপে ছিল কাতার, কুয়েত এবং আফগানিস্তান। গ্রুপে প্রথম হয় কাতার, দ্বিতীয় হয় কুয়েত। এই দু’দল সরাসরি এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭-এ খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। ভারত শেষ করেছিল তৃতীয় স্থানে। আফগানিস্তানের মতোই ৫ পয়েন্ট পেলেও গোল পার্থক্য ভাল থাকায় তৃতীয় হয়েছিল ভারত।
দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিল মোট ন’টি গ্রুপ। প্রতি গ্রুপ থেকে দু’টি করে মোট ১৮টি দেশ সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করে গিয়েছে। বাকি রয়েছে ছ’টি জায়গা। তৃতীয় রাউন্ডের ছ’টি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দেশগুলি প্রতিযোগিতার মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ, ২০২৭ সালের প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য ভারতের সামনে এটাই শেষ সুযোগ। এ জন্য দীর্ঘ দিনের জাতীয় শিবির করার পরিকল্পনা করেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ১৪ মার্চ থেকেই জাতীয় শিবির শুরু হবে। ইগর স্তিমাচের পর কোচ হিসাবে দায়িত্ব নেওয়া মানোলো মার্কেজ় চারটি ম্যাচের একটিও জয় পাননি। তিনি ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে দীর্ঘ শিবিরের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। গত রবিবার ফেডারেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাণিজ্যিক সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলে ১৪ মার্চ থেকে জাতীয় দলের শিবির শুরু করার পরিকল্পনা হয়েছে। আইএসএলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচের দু’দিন পর শিবির শুরু হবে।