গোলের পর ভারতের ফারুক। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের নতুন কোচ হওয়ার পর প্রথম জয়ের মুখ এ বারও দেখতে পেলেন না মানোলো মার্কেজ়। শনিবার প্রদর্শনী ম্যাচে ভিয়েতনামের নাম ডিনে আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করল ভারত। প্রথমার্ধে এনগুয়েন হোয়াং ডোকের গোলে ভিয়েতনাম এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ফারুখ চৌধরি সমতা ফেরান।
এর আগে দু’টি ম্যাচে ভারতকে কোচিং করিয়েছিলেন মানোলো। আন্তর্মহাদেশীয় কাপে মরিশাসের বিরুদ্ধে ড্র করলেও সিরিয়ার কাছে হেরেছিল ভারত। এ বার ভিয়েতনামের বিরুদ্ধেও ড্র করতে হল।
আদতে এই ম্যাচ স্রেফ প্রদর্শনী ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল না। ত্রিদেশীয় সিরিজ় আয়োজন করা হয়েছিল। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে লেবানন নাম তুলে নেয়। তাই আয়োজক দেশ ভিয়েতনাম রাজি হয় ভারতের সঙ্গে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে।
প্রথমার্ধের ১০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল ভিয়েতনাম। রাহুল বেকে বক্সে ফাউল করেছিলেন ভিয়েতনামের এক খেলোয়াড়কে। তবে কুয়ে এনগোক হাইয়ের শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু। তার দু’মিনিট আগে ফারুক প্রায় ঢুকে পড়েছিলেন ভিয়েতনামের বক্সে। তবে তাঁর বাঁ পায়ের শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার এনগুয়েন ফিলিপ।
ম্যাচ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ভিয়েতনামের দাপট বাড়তে থাকে। ১৭ মিনিটে ভ্যান তোয়ানের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। ২৭ মিনিটে ফারুকের পাস পেয়েও ব্রেন্ডন ফের্নান্দেস গোল করতে পারেননি। ৩২ মিনিটে ভিয়েতনামকে প্রায় এগিয়ে দিয়েছিলেন চাউ এনগোক কুয়ান্স। বাঁ পায়ের শট ভারতের গোলের কয়েক ইঞ্চি দূর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৩৮ মিনিটে গোল করে ভিয়েতনাম। বক্সের বাইরে থেকে ভলি মেরেছিলেন ভি হাও। তা আনোয়ার আলির পায়ে দিকে দিক বদল করে গুরপ্রীতের দিকে যাচ্ছিল। সহজ সেই বলও ধরতে পারেননি গুরপ্রীত। তাঁর নাগাল এড়িয়ে গোলে ঢুকে যায়। নাম ডিন স্টেডিয়ামে সমর্থকদের চিৎকারে তখন কান পাতা দায়।
দ্বিতীয়ার্ধে তুলনায় ভাল খেলেছে ভারত। বেশ কিছুটা সময় প্রতিপক্ষকে শাসন করেছে। ৫৩ মিনিটে সমতা ফেরায় ভারত। মাঝমাঠে বিপক্ষের খেলোয়াড়ের থেকে বল কেড়ে নিয়েছিলেন আনোয়ার। তিনি লম্বা পাস বাড়ান ফারুকের উদ্দেশে। ডান পায়ে বল ধরে তা নিয়ন্ত্রণ করে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে ‘চিপ’ করে গোল করেন ফারুক।
এর পরেও ফারুক এবং লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে দু’টি সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে কাজে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ১৫ মিনিট শাসন করে ভিয়েতনাম। ৭৯ মিনিটে ভান ভু-র শট বাঁচান গুরপ্রীত। তিন মিনিট পরে গোললাইন সেভ করেন আনোয়ার।