ইউক্রেনের উপরে আক্রমণের প্রতিবাদ হিসেবে রবিবার আন্তর্জাতিক জুডো সংস্থা তাদের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে।
ফরাসি ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট নোয়েল লুগঁরেত ছবি সংগৃহীত।
ইউক্রেনের উপরে রাশিয়ার হামলা নিয়ে প্রতিবাদের ঢেউ তীব্র হচ্ছে ক্রীড়াবিশ্বে।
সুইডেন ও পোল্যান্ডের মতো রবিবার চেক ফুটবল সংস্থাও জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্লে-অফ ম্যাচে খেলবে না। একধাপ এগিয়ে ফরাসি ফুটবল সংস্থা আবার কাতার বিশ্বকাপ থেকে রাশিয়াকে ছেঁটে ফেলার দাবি জানিয়েছে। সংস্থার প্রেসিডেন্ট নোয়েল লুগঁরেত বলেছেন, “এই পরিস্থিতিতে ক্রীড়াবিশ্ব, বিশেষ করে ফুটবল কোনও অবস্থায় নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে পারে না। কাতার বিশ্বকাপ থেকে রাশিয়াকে বার করে দেওয়া হলে আমি কখনওই বিরোধিতা করব না।”
এ দিকে, ইউক্রেনের উপরে আক্রমণের প্রতিবাদ হিসেবে রবিবার আন্তর্জাতিক জুডো সংস্থা তাদের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই পরিস্থিতিতে পুতিন এই পদের যোগ্য নন।”
পাশাপাশি অবস্থা সামাল দিতে চেলসির রুশ মালিক রোমান আব্রামোভিচ ক্লাব পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব দাতব্য সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আব্রামোভিচ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘প্রায় কুড়ি বছর আমি চেলসির মালিক। এখানে চিরকাল নিজেকে অভিভাবক ভেবেছি। সব সময় চেষ্টা করেছি যাতে চেলসি সফল হয়। আমার ক্লাব সেই লক্ষ্য পূরণও করেছে। আজও আমার ভাবনা জুড়ে থাকে ক্লাবের ভবিষ্যৎ। কামনা করি, চেলসি সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করুক।’’
আরও যোগ করেন, ‘‘এতদিন যা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার সবই ক্লাবের ভালর জন্য এবং মন থেকে নেওয়া। আগামী দিনেও ক্লাবের মূল্যবোধের প্রতি একই রকম দায়বদ্ধ থাকব। ক্লাব চালানোর সব দায়িত্ব দাতব্য সংস্থাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’’
চেলসির তরফেও রবিবার প্রকাশ করা হয়েছে একটি বিবৃতি। বলা হয়েছে, “এই মুহূর্তে ইউক্রেনের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং দুর্বিষহ। সেই দেশের সমস্ত নাগরিকের পাশেই রয়েছে চেলসি এফসি। সকলেই শান্তির জন্য প্রার্থনা করছেন।”