সেন গোরান এরিকসন। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত সেন গোরান এরিকসন। ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম বিদেশি কোচের বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। গত জানুয়ারিতে তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। তার পর থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সুইডিস কোচ। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের কোচ ছিলেন তিনি।
এরিকসনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন তাঁর সুইডেনের এজেন্ট বো গুস্তাভসন। নিশ্চিত করেছেন তাঁর ইংল্যান্ডের এজেন্ট ডিন এলড্রেজও। সোমবার সকালে সুইডেনের বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শেষ সময় পাশে ছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়া ক্লাব ফুটবলেও দীর্ঘ দিন সাফল্যের সঙ্গে কোচিং করিয়েছেন এরিকসন। বেনফিকা, রোমা, লাজ়িয়ো, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, লেস্টার সিটির মতো ইউরোপের প্রথম সারির ক্লাবগুলির দায়িত্ব সামলেছেন। ইংল্যান্ড ছাড়াও মেক্সিকো, আইভোরি কোস্ট এবং ফিলিপিন্সের জাতীয় দলের কোচ হিসাবে কাজ করেছেন। চার দশকের বেশি সময় কোচিং করিয়েছেন এরিকসন।
১৯৪৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সুইডেনের সুনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এরিকসন। ফুটবলারজীবনে ছিলেন রাইট ব্যাক। ১৯৭৩ সালে অবসর নেওয়ার পর ১৯৭৭ সালে কোচিং শুরু করেছিলেন। আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্যের জন্য ২০০২ সালের বিশ্বকাপের বছরখানেক আগে এক জন ভাল কোচের খোঁজ করছিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। দেশীয় কোচদের উপর সেই সময় ভরসা রাখতে পারছিলেন না তাঁরা। ২০০১ সালে প্রথম বিদেশি কোচ হিসাবে সুইডেনের এরিকসনকে বেছে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবল কর্তারা। কোচ হিসাবে উয়েফা কাপ, উয়েফা সুপার কাপ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। মিউনিখে জার্মানির বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ৫-১ ব্যবধানে জয় এরিকসনের কোচিংজীবনের অন্যতম বড় সাফল্য হিসাবে ধরা হয়।
নিজের দেশ সুইডেনের জাতীয় দলের কোচ হিসাবে কখনও কাজ করেননি এরিকসন। একটা সময় ইউরোপের ফুটবল কোচদের মধ্যে তাঁকে অন্যতম সেরা বলে মনে করা হত। সব মিলিয়ে ১৮টি খেতাব জিতেছেন কোচ হিসাবে।