মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল-পঞ্জাব ম্যাচে বল দখলের লড়াই। ছবি: টুইটার।
ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার গ্রুপ ‘এ’-র শেষ ম্যাচে রাউন্ড গ্লাস পঞ্জাবকে ১-০ গোলে হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে কার্সেল কুয়াদ্রাতের দল। গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা অন্য দলগুলির ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে মোহনবাগানকে।
ডার্বি জয় বদলে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মানসিকতা। বুধবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে শুরুর মিনিট ১৫ কিছুটা অগোছালো থাকলেও পরে খেলার রাশ নিজেদের পায়ে নিয়ে নেন লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। যদিও গোল করার মতো সম্ভাবনা প্রথম তৈরি করেছিল পঞ্জাব। ৩ মিনিটে মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে পঞ্জাবের আক্রমণ থামান লাল-হলুদ অধিনায়ক হরমনজ্যোত খাবরা। ৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল প্রাক্তনী জুয়ান মেরার একটি শট দারুণ ভাবে আটকে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখেন গিল। ১৪ মিনিটে ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় পঞ্জাব। তা থেকেও গোল করতে পারেনি তারা।
এর পর ধীরে ধীরে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেন হরমনজ্যোতেরা। ২২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল গোল পেল সেট পিস থেকে। বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় লাল-হলুদ শিবির। পঞ্জাবের এক ডিফেন্ডারের পায়ে বল বাইরে চলে গেলে কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। কর্নার থেকে ভাসানো বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন জেভিয়ার সিভেরিয়ো। মূলত পঞ্জাবের রক্ষণের ভুলেই গোল পায় লাল-হলুদ শিবির। গোটা ম্যাচে আর গোল হল না। দু’পক্ষই একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করল।
ক্লেটন সিলভা বা নবাগত বিদেশি হোসে পাদ্রোকে নামিয়েও গোলের দরজা খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল শিবির। শেষ দিকে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। সুযোগ নষ্ট করেন গত শনিবারের ডার্বির নায়ক নন্দকুমারও। ৭৪ মিনিটে পঞ্জাবের এক ফুটবলার বক্সের ঠিক বাইরে হ্যান্ড বল করলে ফ্রি কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটনের শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। শেষ কয়েক মিনিট সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করেন পঞ্জাবের ফুটবলারেরা। এই সময় একাধিক বার ইস্টবেঙ্গল বক্সে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও গোল করতে পারেননি মেরারা। ফলে ০-১ ব্যবধানে হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিল পঞ্জাব।
তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হল ইস্টবেঙ্গল। ছয় পয়েন্ট নিয়ে রানার্স মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপের ছ’টি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা দলগুলির মধ্যে সেরা দু’টি দল উঠবে শেষ আটে। ফলে মোহনবাগানকে এখন কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য গ্রুপগুলির ফলাফলের দিকে।