সতর্ক: জয়ের সরণিতে ফিরতে মরিয়া কুয়াদ্রাত। —ফাইল চিত্র।
যুবভারতীতে আগামী শুক্রবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে চোটের কারণে দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসের খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জ্বর হওয়ায় বুধবার বিকেলে মাঠে নামেননি সাউল ক্রেসপো। তার উপরে মুষলধারে বৃষ্টি। গোয়া-দ্বৈরথের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে বেশিক্ষণ অনুশীলন করানোর ঝুঁকি নেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। লম্বা বাঁশি বাজিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটতে হাঁটতে চিৎকার করে বলেন, ‘‘প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে আর অনুশীলন করতে হবে না।’’
কোচ বেরিয়ে গেলেও মাঠ ছাড়েননি ফুটবলাররা। মাধি তালাল, আনোয়ার আলি, নন্দ কুমার, সৌভিক চক্রবর্তীরা বল নিয়ে মাঠের এক প্রান্তে অনুশীলন শুরু করেন। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে গোল করার মহড়া চলে প্রায় আধ ঘণ্টা। আইএসএলে প্রথম দুই ম্যাচে হারের যন্ত্রণায় ফুটবলাররাও যে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন, তা স্পষ্ট। কেউ কেউ বলে ফেললেন, ‘‘গোয়ার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। আশা করছি, সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাব।’’
পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, আই এম বিজয়ন, চিমা ওকোরি থেকে সুনীল ছেত্রী— দুঃসময় থেকে বেরিয়ে আসতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। অনুশীলন শেষ হওয়ার পরেও মাঠে থাকতেন ভুলত্রুটি শুধরে নিতে। বুধবার বৃষ্টিস্নাত সন্ধেয় সেই স্মৃতি ফেরালেন সৌভিকরা।
প্রবল বৃষ্টিতে জিকসন সিংহরা যেমন নিজেদের ডুবিয়ে রেখেছিলেন বাড়তি অনুশীলনে, তেমনই প্রবল চাপে থাকা কুয়াদ্রাত ব্যস্ত ছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর পথের সন্ধানে। শেষ পর্যন্ত যদি দিয়ামানতাকোস ও ক্রেসপো খেলতে না পারেন, তাঁদের বিকল্প কারা হবেন? ইস্টবেঙ্গলের প্রধান সমস্যা রক্ষণে। বুধবার তাই প্রান্তিক আক্রমণ থেকে গোল খাওয়া আটকানোর উপরে জোর দেন কুয়াদ্রাত। কখনও হেক্তর ইউতসের সঙ্গে আনোয়ারকে খেলালেন। কখনও হিজ়াজি মাহেরের সঙ্গে রাখলেন লালচুংনুঙ্গাকে। সাইডব্যাক মহম্মদ রকিপ অনুশীলন করেননি। প্রভাত লাকড়া, মার্ক জ়োথানপুইয়ার সঙ্গে দেখে নেন গুরসিমরত সিংহ গিলকেও।
বুধবার অনুশীলনে আরও কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিতও ছিল। গোলে অভিজ্ঞ দেবজিৎ মজুমদারের খেলার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু থেকে দেখা যেতে পারে পি ভি বিষ্ণু এবং ডেভিড লালহানসাঙ্গাকেও।